যোগ ব্যায়ামের আধুনিক সংস্করণ কোয়ান্টাম ইয়োগা
প্রকাশিত : ১৬:৫৪, ২১ জুন ২০১৯
কোয়ান্টাম ইয়োগা যোগ ব্যায়ামের সহজ ও আধুনিক সংস্করণ। এতে পরিশ্রম কম এবং উপকার বেশি। ফলাফল বহুমুখী বিধায় কোয়ান্টাম ইয়োগাকে বলা হয় বুদ্ধিমানদের যোগ ব্যায়াম।পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাগৈতিহাসিক মানুষ যে চর্চা শুরু করেছিল আধ্যাত্মিক সাধনার নিমিত্তে, আজ বিংশ শতাব্দীতে এসে যোগ ব্যায়াম পরিণত হয়েছে আধুনিক মানুষের দেহ-মন সুস্থ রাখার আন্দোলনে। আর এ ব্যায়ামেরই সেরা ব্যায়াম হচ্ছে কোয়ান্টাম ইয়োগা।
যোগ ফাউন্ডেশনের সিকি শতাব্দীর পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার আলোকে এই ব্যায়ামকে করা হয়েছে আধুনিকায়ন। বিভিন্ন আসনে দম নেওয়া ও দম ছাড়া চর্চা করতে গিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে চর্চাকারীরা যে বিভ্রান্তি বা জটিলতার সম্মুখীন হতেন কোয়ান্টাম ইয়োগাতে তা নেই। অথচ একই উপকার পাওয়া যাচ্ছে চমৎকারভাবে। আর এ আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে সুস্থতার মনছবি। ফলে কোয়ান্টাম ইয়োগা হয়ে উঠেছে যোগের সবচেয়ে সহজ ও ফলপ্রসূ একটি প্রক্রিয়া।
সাধারণ ব্যায়াম ও পাশ্চাত্যের ব্যায়াম শুধু পেশীশক্তি বাড়ায়। কোয়ান্টাম ইয়োগা পেশীশক্তিকে সংহত করার পাশাপাশি হরমোন প্রবাহকে সুষম, নিরাময় শক্তিকে বেগবান, মনকে তরতাজা আর শরীরকে মনোদৈহিক রোগমুক্ত করে। এবার দেখে নিন যোগের এই আধুনিক প্রক্রিয়ার উপকারসমূহ :
১. দম নেওয়া ও ছাড়ার ঝামেলামুক্তি : প্রচলিত যোগ ব্যায়ামে বিভিন্ন আসন করার সময় দম নেওয়া ও ছাড়ার বিশেষ বিশেষ নিয়ম রয়েছে-যা যথাযথভাবে অনুসরণ করে আয়ত্ত করার জন্যে একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের অধীনে শিক্ষা গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করে। কিন্তু কোয়ান্টাম ইয়োগা এই বিশেষ পদ্ধতিতে দম নেওয়া ও ছাড়ার ঝামেলামুক্ত। আসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দম স্বাভাবিক রাখতে হয়। ফলে এর চর্চা খুব সহজ। কোনো প্রশিক্ষক ছাড়া অনুশীলন করতেও কোনো অসুবিধে নেই।
২. স্নায়ু, পেশী ও গ্ল্যান্ডের ব্যায়াম : কোয়ান্টাম ইয়োগায় শুধুমাত্র বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নয়, বরং স্নায়ু, পেশি ও বিভিন্ন গ্ল্যান্ডের ব্যায়াম হয়। এটি সব ধরনের গ্লান্ডের হরমোন প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে, ফলে শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক প্রাণবন্ততা দুটোই অর্জিত হয় সমান তালে।
৩. অক্লান্ত দেহমন : কোয়ান্টাম ইয়োগা এন্ডোক্রাইন, ডাইজেস্টিভ ও নার্ভাস সিস্টেমসহ পুরো দেহে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি করে। ফলে প্রাণবন্ততা থাকে তুঙ্গে। টানা ১৮ ঘণ্টা বিরতিহীন কাজ করেও দেহ ক্লান্ত ও অবসন্ন হয় না।
৪. স্মৃতি ও মেধাশক্তি বৃদ্ধি : কোয়ান্টাম ইয়োগার নির্দিষ্ট কিছু আসনে মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন হয়। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও মেধার স্ফুরণে সহায়ক।
৫. আকর্ষণীয় ফিগার : নির্দিষ্ট অঙ্গের নির্দিষ্ট আসন চর্চায় ফিগার হয়ে ওঠে আকর্ষণীয়।
৬. লাবণ্যময় ত্বক : প্রাণায়াম চর্চায় লাভ হয় লাবণ্যময় ত্বক।
(তথ্যসূত্র : কোয়ান্টাম মেথড)
এএইচ/কেআই