জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস আজ
প্রকাশিত : ০৯:৩৫, ২ নভেম্বর ২০১৯
জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস আজ। প্রতিবছর ২ নভেম্বর দেশে দিবসটি পালন করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির উদ্যোগে দিবসটি দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানের মতো মানবিক কর্মসূচিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছায় রক্তদানকে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কাজ করছি। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিকে আরও বিস্তৃত করতে হবে যাতে মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদানে সচেতন ও আগ্রহী হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার অন্ধত্ব প্রতিরোধে এবং চক্ষুরোগ চিকিৎসার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আমরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা ও গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ করে ছানিসহ চোখের বিভিন্ন রোগের অপারেশনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা করছি।’
‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে করে স্বেচ্ছায় অঙ্গদান ও মৃত্যুর পর চক্ষুদানে আর জটিলতা থাকবে না। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ কোনো উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গ নেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদ রক্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য ‘অন্ধত্ব মোচন অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন।’
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে প্রথম জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এসএ/