বইমেলায় বসন্তের আবহ
প্রকাশিত : ১১:০৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৩:১৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বসন্ত আসতে এখনো চার দিন বাকি। কিন্তু মেলায় যেন বসন্তের আবহ। এখনই মাথায় ফুলের টায়রা, হলুদ বা বাসন্তী শাড়ি পরে মেয়েদের দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। বাসন্তী শাড়ি পরে, খোঁপায় পলাশ ফুল গুঁজে মেয়েদের ঘুরে বেড়ানো মেলায় উত্সবের রং বুলিয়ে দেয়।
ডেমরা থেকে আসা দুই বান্ধবীর সঙ্গে কথা হয় অন্যপ্রকাশের স্টলে। মায়া আক্তার ও তানিয়া আক্তার দুজনেই মুড়াপাড়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। তারা কিনলেন হুমায়ূন আহমেদের ‘বৃষ্টি বিলাস’ এবং তবারক হোসেনের বই।
বললেন, ‘পহেলা বৈশাখে আসার সুযোগ পাই কি না, জানি না। সেজন্য আজই বসন্তের সাজে এসেছি। মেলায় বই কিনব আর ছবি তুলব—এটাই শখ।’
নাতনি নিথিলাকে কাঁধে নিয়ে মেলা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন নানা মো. আওলাদ। বাড়ি রাজশাহী। বললেন, ‘এসেছি নাতনি আর মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে। জামাই আর মেয়ের সঙ্গে মেলায় এসেছি ঘুরতে। ওরা সবাই বই কিনছে, আমি নাতনিকে নিয়ে ঘুরছি। খুব সুন্দর হয়েছে এবারের বইমেলা।’
মেলা আট দিন পেরিয়ে এলো। সব স্টলেই চলে এসেছে নতুন বই। স্টলে স্টলে জমে উঠেছে বেচাকেনা। এই আট দিনে মেলায় ৯৫৭টি নতুন বই এসেছে। বাঙালি যে আবেগপ্রবণ জাতি, তার প্রমাণ রেখে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বই এসেছে কবিতার। এর সংখ্যা হচ্ছে ২৬১। এরপর রয়েছে উপন্যাস ১৮৯টি এবং অবধারিতভাবেই এরপরে রয়েছে গল্পের বইয়ের স্থান। এর সংখ্যা ১১৫।
মননশীল কোটায় প্রবন্ধের বইয়ের সংখ্যা ৫৭। শিশুতোষ বইয়ের সংখ্যা ৫১। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত নতুন বইয়ের সংখ্যা ৩৪ আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত বই ৩৩টি। এছাড়া জীবনীগ্রন্থ এসেছে ২৯টি, সায়েন্স ফিকশনের বই প্রকাশিত হয়েছে ২৫টি। গবেষণাগ্রন্থ ১৯, ছড়া ১৪, বিজ্ঞানবিষয়ক ১৬, ভ্রমণ ১৫, ইতিহাস ১৮, রাজনীতি ২, চিকিত্সাবিষয়ক ৩, অনুবাদ গ্রন্থ ১০, অভিধান রয়েছে ২টি।