রাষ্ট্রীয় ঘনিষ্ঠতায় স্বর্ণ চোরাচালানের বড় হোতা দিলীপ আগারওয়ালা
প্রকাশিত : ১২:০২, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১২:২০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
স্বর্ণ চোরাচালানের হোতা দিলীপ কুমার আগারওয়ালা। বাংলাদেশকে ট্রানজিট বানিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার করতেন তিনি। দেশে গড়ে তুলেছেন নকল ডায়মন্ডের ব্যবসা। এসব করেই ১৫ বছরে বেশুমার সম্পদ হয়েছে আগারওয়ালা’র। অন্তত ২৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে আগারওয়ালা জড়িত বলেও সন্দেহ স্থানীয়দের।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কথা বলার সাহস পাচ্ছে মানুষ। স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশে বসবাস করেন কিন্তু সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন ভারতে। নির্বাচনে যে পরিমাণ সে খরচ করেছে তা অবিশ্বাস্য। মানুষের মধ্যে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এই টাকার উৎসটা কোথায়।
কীভাবে দিলীপ কুমার আগারওয়ালা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, খুলছে সেই রহস্যের জট। অবাক করা উত্থান তার।
হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে পেয়েছেন অবাধ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথেও ছিল তার ঘনিষ্ঠতা। তর তর করে বেড়ে উঠতে সময় লাগেনি তার।
সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরালাচালান সিন্ডিকেটের বড় প্লেয়ার দিলীপ আগারওয়ালা। বিদেশ থেকে আসা স্বর্ণের অবৈধ চালান তিনি যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করতেন। এ নিয়ে চোরাকারবারী কারো কারো সাথে তার বিরোধ ছিল। কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, আগারওয়ালার ব্যবসায়ী-প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ৩০টি শোরুম বছরে ফাঁকি দিয়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার ভ্যাট। ১৫ বছরে যা ২৪ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা।
নকল হিরা বিক্রি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন আগারওয়ালা। কলকাতায় রয়েছে ৩টি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি। সম্পদ আছে দুবাই ও কানাডাতেও।
২০১৭ সালে দিলীপ কুমার আগারওয়ালার দুর্নীতি বিষয়ে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে এটি ধামাচাপা পড়ে।
এএইচ