মন্ত্রীত্ব নয় আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন শাজাহান খান
প্রকাশিত : ১১:২২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১১:২৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শাজাহান খান। এক যুগ আগেও তার ঢাকা শহরে ছিলো না কোন ফ্লাট বা জমি। মন্ত্রীত্ব পাওয়ার আগে তার মাসিক আয় ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মন্ত্রী হবার পর তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় শতগুন। নিজ জেলা মাদারিপুর আর ঢাকা শহরে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। আছে আবাসন, হোটেল ও শিপিং ব্যবসা। পরিববহন খাতে চাঁদাবাজীর একক গডফাদার শাহজাহান খান।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ ১৫ বছরে বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বেড়েছে বাৎসরিক আয়ও।
মাদারীপুর শহরে মুকুটহীন সম্রাট শাহাজান খানের দৃশ্যমান সম্পত্তির মধ্যে আছে ১০ তলা একটি বাসভবন, ৬ তলা একটি হোটেল, আছে সার্বিক ফুড ভিলেজ। মাদারিপুর স্কুল এন্ড কলেজের জমি দখল করে সেখানে গড়ে তোলেন ৪ তলা ভবন। একই শহরে রয়েছে তার ৩টি পেট্টোল পাম্প, ৪ তলা ভবনে নিজের বাবার নামে আসমত আলী খান হাসপাতাল। এছাড়া সার্বিক পরিবহনের মালিকও তিনি ও তার পরিবার। ভাইদের আছে অঢেল সম্পত্তি।
রাজধানীর বুক জুড়ে সাবেক এই মন্ত্রীর রয়েছে একাধিক বাড়ি।
মাদারীপুর-২ নম্বর আসন থেকে টানা ৮ বারের এমপি ও ২ বার নৌ পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন শাজাহান খান। জেলার সবকিছুই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। ছোট ভাই হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান জেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুরে তার ছোটভাই যাচ্চু খা যতো টেন্ডারবাজী-কিশোরগ্যাং থেকে শুরু করে সবই তার নেতৃত্বে হয়েছে। তা মাদারীপুরের আনাচে-কানাচের সকল লোকজনই জানেন। অনেকে মুখ খুলতে পারে না ভয়ের কারণে। শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি থাকাকালে শ্রমিকদের দিয়ে চাঁদাবাজি, তার ভাই টেন্ডারবাজি করেছে মাদারীপুর শহরে, অন্যান্য ভাইরা ভূমিদস্যুতা, ব্যাপক সন্ত্রাসী-লুটপাট চালিয়েছে মাদারীপুরে।
এছাড়া মন্ত্রী থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামের বন্দরও ছিল ছোট ভাই যাচ্চু খানের হাতে। আর এক ভাই এ্যাডভোকেট ওবায়েদুর রহমান কালু খান ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান। টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল, কিশোরগ্যাং নিয়ন্ত্রণ, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ শাজাহানের পরিবারের বিরুদ্ধে। বিএনপি, জামায়াতসহ সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না।
বছরের পর বছর শ্রমিক ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতির পদে থেকে তিনি হয়ে ওঠেন পরিবহন জগতের কিং। কাজ করেন পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার হিসেবে।
এএইচ