ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘আম্ফান’ কেন জানেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৫, ১৯ মে ২০২০

বঙ্গোপসাগরের উপর ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান নিজের শক্তি বাড়িয়ে বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে। ক্রমেই বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এতে সাগর প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পুনরায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে পুনরায় ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম কেন ‘আম্ফান’ রাখা হয়েছে তা কী জানেন? 

ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘আম্ফান’ হওয়ার রহস্য এবার জেনে নিন-

১. ২০০৪ সালে প্রস্তুত যে ঝড়ের নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল ‘আম্ফান’ তার সর্বশেষ নাম। এই ঝড়ের নামটি প্রস্তাব করেছিল থাইল্যান্ড।

২. ৫টি কমিটি আছে, যারা সারাবিশ্ব জুড়ে হওয়া সামুদ্রিক ঝড়ের নামকরণ করে। এদের নামগুলোও ঝড়ের নামেই। এই কমিটিগুলোর নাম হলো- (১) এস্কেপ টাইফুন কমিটি, (২) এস্কেপ প্যানেল অফ ট্রপিকাল সাইক্লোন, (৩) আরএ-১ ট্রপিকাল সাইক্লোন কমিটি, (৪) আরএ-৪ ও (৫) আরএ-৫  ট্রপিকাল সাইক্লোন কমিটি।

৩. বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা শুরু করে। এরপর ২০০৪ সাল থেকে ভারতও ঝড়ের নামকরণ করা শুরু করে। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান,
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান ও থাইল্যান্ডও ঝড়ের নামকরণের পথ বেছে নেয়। এই ৮টি দেশের প্রস্তাবিত নামগুলোর প্রথম অক্ষর অনুযায়ী পরপর ক্রমতালিকায় সাজানো হয় এবং সেই অনুযায়ীই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়।

৪. এই আটটি দেশই বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাকে ঝড়ের নামের তালিকা দিয়েছে। এতে ভারত ‘অগ্নি’, ‘বিদ্যুৎ’, ‘মেঘ’, ‘সাগর’ এবং ‘আকাশ’ এর মতো নাম দিয়েছিল। একই সময়ে পাকিস্তান দেয় ‘নিলোফার’, ‘বুলবুল’ এবং ‘তিতলি’ এর মতো নাম। এই নামগুলোর মধ্যে থেকেই, ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।

৫. এই আটটি দেশের মধ্যে কোথাও যদি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়, তবে পাঠানো নামগুলোর মধ্যে থেকেই বিকল্প যে কোনও একটি নাম বেছে নেওয়া হয়। তবে ঘূর্ণিঝড়ের একই নাম বার বার ব্যবহার করা হয় না। এবারে থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম থেকেই নাম রাখা হয়েছে ‘আম্ফান’।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি