হাওরাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকায় ১শ দিনের সহায়তা কর্মসূচি
প্রকাশিত : ০৮:৩৭, ২৪ এপ্রিল ২০১৭
হাওরাঞ্চলের বন্যা
হাওরাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকায় ১শ দিনের সহায়তা কর্মসূচি সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করছেন সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতার সাথে সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা। তবে তাদের আশংকা ফসলহানীর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে সামগ্রিক খাদ্য সরবরাহে। একই সাথে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ আর গোখাদ্যের সংকট কাটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ারও তাগিদ তাদের।
দেশের অন্যতম শষ্যভান্ডার আর দেশি মাছের আধার, উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল। কিন্তু এবার বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এসব এলাকায় দেখা দেয় আগাম বন্যা। এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে ২ থেকে ৩ লক্ষ হেক্টর বোরো ক্ষেত। পানি দূষন আর মাছে মড়কে অনিশ্চয়তায় দুইকোটি মানষের জীবিকা।
এরই মধ্যে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের। পরবর্তি ফসল না ওঠা পর্যন্ত সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
হাওরে ফসলহানির বিরূপ প্রভাবের আশংকাও করছেন বেসরকারি ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তা । বলছেন.ব্যাহত হতে পারে খাদ্যশস্য সরবরাহের স্বাভাবিক গতি।
বাঁধ সংস্কার নিয়েও উছেছে প্রশ্ন। পর্যাপ্ত বরাদ্দ ছিল। আগাম সতর্কতাও ছিল। তারপরও নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ না হওয়া ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান বেড়েছে বলে মত তার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর বলছে, হাওরাঞ্চলে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এমনিতেই ঝুঁকি রয়েছে দেশের জীববৈচিত্র। তাই আকষ্মিক বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মেলাবেলায় নিতে হবে দীর্ঘ মেয়াদের পরিকল্পনা।