চামড়া শিল্প সাভারে নেয়া হলেও খবর নেই ক্রোম রিকভারি প্লান্টের
প্রকাশিত : ১১:২০, ২৭ এপ্রিল ২০১৭
চামড়া শিল্প হাজারীবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে নেয়া হলেও খবর নেই ক্রোম রিকভারি প্লান্টের। অথচ চামড়াবর্জ্যের সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক ক্রোমিয়াম সালফেট, যাতে আক্রান্ত হলে ক্যান্সারসহ আরও সব মরণব্যাধি অনিবার্য। স্বয়ংক্রিয় প্লান্ট ছাড়াই ক্রোমিয়াম ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত বিশেষজ্ঞরাও।
ডাম্পিং ইয়ার্ড কিংবা শিল্পনগরীর রাস্তার পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নীল রঙের এই পদাথই ক্রোমিয়াম সালফেট।
পানিতে যদি ২ পিপিএমের বেশি এই ক্রোমিয়াম সালফেটের মিশ্রণ ঘটে তাহলে দূষণ ছড়িয়ে পড়বে পুরো পানিতেই। ক্রমশ আক্রান্ত হবে মাটি, বাতাস আর সময়ের ব্যবধানে বিষাক্ত হবে গ্রাউন্ড ওয়াটার।
এতো গেল অনিয়মের একটি অধ্যায়। সাভার শিল্পনগরীতে লবণ শোধনের কোন ব্যবস্থাই করেনি বিসিক। অথচ চামড়া বর্জ্যে টোটাল ডিসলভ সলিড বা লবণের মাত্রা হচ্ছে ২১০০ পিপিএম। বিষয়টি এমন যে, ১ লিটার পানিতে লবণ থাকবে সর্বোচ্চ ২ পয়েন্ট ১ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ১ লিটারে ৩ গ্রামেরও কম।
অথচ চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণবর্জ্য বের হয় ২০ থেকে ৩৫ হাজার পিপিএম। শোধনের ব্যবস্থা না থাকায় এই লবণ মাটিতে, বাতাসে কিংবা পানিতে মিশলে পরিবেশের কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়। কারণ প্রতিবছর চামড়াশিল্পে লবণ ব্যবহার হয় ১ কোটি ৫০ লাখ কেজি।
এসবের কোন কোন জবাব নেই বিসিকের কর্তাদের কাছে। কথার ফাঁকে স্বীকার করেন নিজেদের ভুল।
তবে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরগুলোর ছাড়পত্র নিয়ে শিল্পবান্ধব নগরী গড়ার দাবি ভূক্তভোগীদের।