পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা ঝুঁকি শূণ্যের কোঠায় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩২, ১৮ মে ২০২১
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা ঝুঁকি শূণ্যের কোঠায়, এমন নিশ্চয়তাই দিলেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জেনারেশন থ্রি প্লাস ভিভিইআর রি-অ্যাক্টর, পরিবেশে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়ানো রোধে কোর ক্যাচারসহ বিশ্বমানের নিরাপত্তা প্রযুক্তি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাসে বড় নিশ্চয়তা হলো, চুক্তি অনুসারে সকল পরমানু বর্জ্য ফেরত নেবে রাশিয়া।
নিউক্লিয়ার ফিউশনে উৎপন্ন তাপে টারবাইন ঘুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। প্রধান জ্বালানী, ইউরেনিয়াম অক্সাইড। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঝুঁকি বিবেচনা করা হয় দুটো দিক থেকে। একটি তেজষ্ক্রীয় উপাদানের ব্যবহার অন্যটি অবকাঠামো প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভিভিইআর পরিবারের সর্বশেষ সংস্করণের জেনারেশন থ্রি-প্লাস প্রযুক্তির দুটি ১২শ’ প্রেসারাইজড থার্মাল ওয়াটার রিয়্যাক্টর ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি রিখটার স্কেলের ৯ মাত্রার ভূমিকম্প, বিমান দুর্ঘটনা বা অভিজ্ঞতা আছে এমন যে কোন দুর্যোগে অক্ষত থাকবে।
বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান পরমানু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সফিকুল ইসলাম ভূইঞা বলেন, প্রোবালিটি ওই রকম হতে যে, ১ লাখ বছর এই রিঅ্যাক্টরকে চালাই তাহলে একটা ফোরমেল্ট হতে পারে যেটা থ্রিমেল্ড আইলাইন টাইপ অ্যাকসিডেন্ট। আমরা যদি একটা রিঅ্যাক্টরকে ১ কোটি বছর চালনা করি, এটার সেফটি লেবেল ওই রকমই হবে। তবে এই সেফটি লেবেল আরও দশ গুণ বাড়ানো হয়েছে।
এমন অবকাঠামোর পরও কোন বড় দুর্যোগে তেজষ্ক্রিয়তা রিয়্যাক্টরের বাইরে আসলে তা সরাসরি মাটির নীচে নেওয়ার জন্যে কোর ক্যাচার প্রযুক্তি যুক্ত আছে রূপপুরের এই প্রকল্পে। আছে আধুনিক কুলিং টাওয়ারও।
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ১৮ মাসে একবার পাল্টাতে হবে ফুয়েল রড। এই কেন্দ্র কার্যক্ষম থাকবে ৬০ বছর। সব মিলিয়ে ৪০ বার বের হওয়া সব বর্জ্য ফিরিয়ে নেবে রাশিয়া।
অধ্যাপক ড. সফিকুল ইসলাম ভূইঞা আরও বলেন, সেখানে খুব ভালো করে লেখা আছে যে, দুটি শর্ত অবশ্যই মানতে হবে। আমাদের যে বর্জ্যগুলো বেড়িয়ে আসবে সেগুলো ফিরিয়ে নেয়া হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় বাঁধা ছিল এই রেডিওটিভ ওয়েস্ট নিয়ে। সেই বাঁধাটা আর থাকলো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি পুতিনের সাথে কথা বলে এই চুক্তিটি করেন।
প্রকল্পটির ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর ও স্টিম জেনারেটর এখন রুপপুরে। ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেই বসবে রিয়্যাক্টর। সব ঠিক থাকলে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে ২০২৩ সালে আর ২০২৪ সালে আসবে দ্বিতীয় ইউনিট। জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে ২ হাজার ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/