বিশ্বমঞ্চে বাংলা উদ্ভাসিত হয় বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে
প্রকাশিত : ১৩:২৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:২৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বমঞ্চে বাংলা উদ্ভাসিত হলো বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে। জাতিসংঘ অধিবেশনে শেখ মুজিবের বাংলায় দেয়া সে বক্তৃতা আজও মহিমান্বিত।
৭ই মার্চ ১৯৭১, ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জনতার মঞ্চে স্বাধীনতার অমর কবি শেখ মুজিবের কণ্ঠে বেজে উঠলো সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির শোষণ মুক্তির বীজমন্ত্র।
জাতির পিতার আহ্বানে যুদ্ধ জয় করে লাল সবুজ পতাকা ছিনিয়ে এনেছে মুক্তিকামী বাঙালি। অতঃপর, বঞ্চিত মানুষ আর বিধ্বস্ত ভূখণ্ডের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুক্তি লাভের পর শুরু হয় দেশ গড়ার দ্বিতীয় বিপ্লব। ১৯৭৪-এর ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ শুনলো বাংলা ভাষণ। সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে তিনি তুলে ধরলেন জয় জনতার আনন্দ-বেদনা।
বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার উচ্চারণ ধ্বণিত হলো বাঙালি জাতির পিতার কণ্ঠে। ইংরেজিতে বক্তৃতার অনুরোধ থাকলেও রক্তে অর্জিত মাতৃভাষার প্রতি আনুগত্য থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধেও তাঁর দরাজ উচ্চারণ ছিল জাতিসংঘ অধিবেশনে।
কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, সেই দিনের ভাষণে তিনি নিপীড়িত মানুষের কথা খুব গভীর মর্যাদার সঙ্গে বলেছেন। প্রতিবাদী চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, বিশ্বের যত নিপীড়িত মানুষ আছে তারা এই ভাষণের মর্যাদায় নিজেদের অধিকারের জায়গাকে দেখতে পেয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে দেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতার হাত বাড়াতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সেলিনা হোসেন আরও বলেন, বাঙালি জাতিকে, বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেয়ার এটা ছিল একটি মহান ব্রত।
পিতার দেখানো পথেই হাঁটছেন কন্যা শেখ হাসিনা। বিশ্বসভায় স্বদেশের অস্তিত্ব জানান দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। বাংলা পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সম্মান।
ভিডিও-
এএইচ/