রোডসের প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিনের নিয়োগ বাণিজ্য
প্রকাশিত : ১৩:২৮, ৪ অক্টোবর ২০২১
চাহিদা নেই, তারপরও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই মাস্টার রোলে প্রায় অর্ধশত পদে নিয়োগ। এমএলএসএস থেকে দেয়া হয়েছে পদোন্নতি। শুধু তাই-ই নয়, সরকারি বেতনে নিয়োগ করা দুই কর্মচারিকে বাসায় কাজ করান সড়ক ও জনপথ বিভাগের কারখানা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ। এতো নিয়োগের পরও এ বিষয়ে কিছুই জানে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কারখানা বিভাগে জনবলের চাহিদা নেই। তারপরও মাস্টার রোলে নিয়োগ হয়েছে। ১১ আগস্ট কিশোরগঞ্জের দিঘিরপর ফেরীঘাটে একজন সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ সেখানে ফেরী চালানোর সিদ্ধান্তই হয়নি। আর যিনি নিয়োগ দিয়েছেন তার নিয়োগ দেয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।
আর সে কারণেই আদেশের ৫ দিন পর সুপারভাইজারের জায়গায় ওয়েল্ডার পদ উল্লেখ করে সংশোধিত আদেশ দেয়া হয়।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে দুইজন ওয়েলডার ম্যান থাকার পরও একই পদে নিয়োগ দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ। কিন্তু কারখানা বিভাগের ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী এ নিয়োগের প্রয়োজন নেই বলে একটি চিঠি দেন।
একটি দুটি নয় গত কয়েক বছরে এভাবে প্রায় অর্ধশত লোক নিয়োগ দিয়েছেন মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ। ২৫ আগস্ট কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গুঞ্জন বড়ুয়া এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, তার অফিসে ৪৭ জনের নিয়োগ চুক্তি ভিত্তিক। যাদের বেতন দেয়াই কষ্টকর। এ জন্য এ নিয়োগের পুনঃবিবেচনার আবেদন করেন তিনি।
গত দশ বছরে মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ যেসব নিয়োগ দিয়েছেন তার একটি তালিকা এসেছে একুশের হাতে।
অফিসে নিয়োগ দিয়ে সুমন ও জসিম মিয়াকে বছরের পর বছর নিজের বাসায় কাজ করিয়েছেন মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ। অনুসন্ধান বলছে, ২০১৮ সাল থেকে কারখানা সার্কেল ঢাকা অফিস থেকে এ দুই কর্মচারির বেতন হচ্ছে।
মোবাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মচারি সুমন জানান, আগে বড় স্যারের সার্কেলে দুই বছর কাজ করেছি। কিন্তু এখন তিনমাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে।
তিনজন এমএলএসএসকে প্রমোশন দিয়ে একজনকে কম্পিউটার অপারেটর আরেকজনকে গাড়ী চালক করা হয়েছে।
এসব নিয়ে চেষ্টা করেও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে, নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করবো।
ভিডিও-
এএইচ/