ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

শুরু হলো প্রত্যাশার নতুন বছর (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশনঅখিল পোদ্দার

প্রকাশিত : ১১:৫৯, ১ জানুয়ারি ২০২২

রঙের ঘনঘটায় বিদায় ২০২১। শুরু হলো প্রত্যাশার নতুন বছর ২০২২। টানাপোড়েন ভুলে কল্যাণকর সমাজ গঠনের প্রত্যয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের।

জীবনের পাটিগণিত হারালো একটি বছর। ধাবমান কালের যাত্রায় শুরু হলো নতুনের যাত্রা। যার সংকল্প হবে কলুষমুক্ত দেশ গড়া। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।  

বিগত বছরে সবার মাঝেই ছিল নানামাত্রিক অপ্রাপ্তি। মহামারীতে ছিল উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। অস্বস্তি আর আতঙ্ক ভর করেছিল প্রাণে প্রাণে। তারপরও এসেছে জয়, মানবিকতার হাত ধরে মানুষ হয়েছে বিজয়ী।

২০২২ সালে পদ্মা সেতুর উপর উঠবে ট্রেন। মানুষ পেরুবে উত্তাল নদী। স্বপ্নধরা সেতুর দু’পারে গড়বে অর্থনীতির নতুন সজ্জা।

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পার করে স্বপ্নজাগানিয়া বাঙালির নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জেগেছে। শত্রু-বহিঃশত্রুর ভ্রষ্টনীতি উতরে এগুচ্ছে দেশ, বাড়ছে প্রবৃদ্ধি, একনাগাড়ে চলছে উন্নয়ন মহাযজ্ঞ।

বহুল কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলে চেপে বসবে ঢাকার মানুষ। সেটিও চলতি বছর ২০২২-এ। আরও আরও সুখবর থাকবে বারো মাসের বিভিন্ন সময়ে।  

পদ্মাপারের এক নারী বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানুষের উন্নতি করেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়েছেন। খুবই সুন্দরভাবে দেশকে উন্নতির পথে নিচ্ছেন তিনি।

অসাম্প্রদায়িকতার যে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ৫০ বছরের বাংলাদেশ, আগামীতে তা হবে পারস্পরিক আরও শক্তিশালী। 

বাউলশিল্পী ও সংগঠক শফি মণ্ডল বলেন, ‘আমরা সুন্দরের দিকে ধাবিত হচ্ছি, কোন অশুভ অসুন্দর যেন এই দেশকে আঘাত করতে না পারে। ‘

বিজ্ঞজনেরা বলছেন, সার্বিক উন্নয়নের মডেল হিসেবে দেশ গড়তে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন  যেকোনোভাবে অটুট রাখতেই হবে। 

নাট্যজন, মঞ্চ নির্দেশক ও সংগঠক রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক শক্তি নেই, সুতরাং আমাদের সাংস্কৃতিক শক্তি আছে। সেটার মধ্যদিয়ে আমরা একটা বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারি।

প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও পরিচালক মামুনর রশীদ বলেন, আমাদের নাট্যমঞ্চে কি হচ্ছে, আমাদের সঙ্গীতে কি অগ্রগতি হচ্ছে, নৃত্যে কি অগ্রগতি হচ্ছে? এগুলো নিয়ে কি কারোর মাথাব্যথা আছে?

সকল ধকল সইয়ে এরইমধ্যে উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছে আমজনতা। প্রাপ্তির চেয়ে তাদের অনেকেরই অপ্রাপ্তি অনেক বেশি। তবু জীবনের ম্লানতা ভেদ করে আশার সূর্য উঁকি দিচ্ছে। 

চাওয়া-পাওয়ার গণিত মিলিয়ে গণমানুষের তাই মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

গণমানুষেরা জানান, ২০২২ সাল আমাদের বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। সরকারের কিছু কিছু নতুন পরিকল্পনা আছে, আমাদেরও কিছু নতুন পরিকল্পনা আছে। তাতে ভালো কাটবে বলে আশা করছি।

বাঙালির উত্তরণে ভূমিকা রেখেছে হাজার বছরের কৃষিঅর্থনীতি। মধ্যসত্বভোগীদের দাপট-দৌরাত্ম্য উতরে গাঁয়ের কৃষক এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী। পারমাণবিক যুগের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে তারাও এখন ডিজিটাল গৃহস্থ।  

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কৃষকরা তাদের মেধা ও পরিশ্রমের ফলে ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থেকে খাদ্যশস্য বৃদ্ধি এগিয়ে রাখছেন। তাতে আমাদের ক্ষুধার রাজ্যে ঢুকতে হয়নি। 

সবমিলে নতুন বছরে মানুষের কাছে প্রতিটি মানুষের চাওয়া- লক্ষ্য অর্জনে বাঙালি থাকবে ঐক্যবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশি চেতনায় উদ্ভাসিত হবে দেশ। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি