আন্দোলন-সংগ্রামের প্রেরণা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৬, ৮ মার্চ ২০২২
জয় বাংলা এখন জাতীয় স্লোগান। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাঙালির চেতনা ও প্রেরণার শক্তি এ স্লোগান এখন জাতীয় ঐক্যের চূড়ান্ত রূপ।
কিছু শব্দ কিংবা কিছু বাক্য যখন সাহস জুগিয়ে মানসিক আস্থা অর্জন করে তখন তা স্লোগানে রূপ নেয়। স্বাধীনতাযুদ্ধে যেমন উৎসাহ যুগিয়েছে এই স্লোগান তেমনি যুদ্ধে অংশ নিয়ে মা-মাটি-দেশ রক্ষার মন্ত্র হিসেবেও কাজ করেছে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ১৯৭১ সনের ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েই তাঁর অবিস্মরণীয় বক্তৃতা শেষ করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকাসহ অন্যান্য মাধ্যমে নিষিদ্ধ হয়েছিল জয় বাংলা স্লোগান।
মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী বীরেন সোম বলেন, “একটা পর্যায়ে তো দেখা গেল বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ, সেই বক্তব্য সামরিক জান্তা যারা এসেছিলেন তারা নিষিদ্ধ রাখেন। কিন্তু ধরে রাখতে পারলো না, কালক্রমে আবার জাগরণ ঘটলো। ইদানিং হাইকোর্ট থেকে যে রায়টা হয়েছে তাতে আমরা খুবই সন্তুষ্ট।”
জয় বাংলা হবে জাতীয় স্লোগান- এমন ঘোষণা চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ। ২০২০ সালে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ থেকে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার নির্দেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশকে ভালবাসবে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করবে, বঙ্গবন্ধুকে ও দেশকে ভালবাসবে তাদের জয় বাংলাকে ভালবাসতে হবে। আর জয় বাংলাকে যারা ভালবাসবে না, তোমরা বাংলা ছাড়।”
প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, সাংবিধানিক পদধারী সব ব্যক্তি, রাষ্ট্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী রাষ্ট্রীয় বা সরকারি অনুষ্ঠানের শেষে জয় বাংলা বলবেন। স্কুল-কলেজের এসেম্বলিতেও বলতে হবে জয় বাংলা।
বশির আহমেদ বলেন, “জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগানে পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য ক্যাবিনেট মিটিংয়ের অনুমোদন আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।”
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছিলেন, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান। এমনকি এটি ৭ই মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানেও অন্তর্ভুক্ত।
এএইচ/