নিয়ম না মানায় বাড়ছে গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩০, ১৮ মার্চ ২০২২
নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত, সবার ঘরেই এখন গ্যাসের সিলিন্ডার। সম্প্রতি ফুটপাথের টঙ দোকানেও ব্যবহার বেড়েছে সিলিন্ডার গ্যাসের। দাহ্য পদার্থের সংরক্ষণ ও নিয়ম না মানায় বেড়েছে গ্যাস দুর্ঘটনা।
গেল ক’মাসে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। আগুনে পুড়ে মারা গেছে বহু মানুষ।
এক গ্রাহকরা জানান, “নিয়মনীতির পরোয়া করে না, এ কারণে এটি ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
মানুষ মরলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। টিভি চ্যানেলের টক শোতে কিছুদিন গরম কথাবার্তাও হয়। তারপর চুপচাপ। আর এভাবেই চলছে দাহ্য পদার্থের বিক্রি আর সংরক্ষণের অনিয়ম।
পথচারীরা জানান, “আমরা সাধারণ জনগণ এসে এক জায়গায় দাঁড়িয়েছি, দেখা গেল বিস্ফোরণ ঘটে গেল। স্কুলের বাচ্চারা যায়-আসে, যেকোন মুহূর্তে সিলিন্ডার ব্রাস্ট হয়ে যেতে পারে।”
এক সচেতন নাগরিক জানান, “কম দামী গ্যাস ব্যবহার করে, কম দামী সিলিন্ডার ব্যবহার করে। যার কোন লংজিবিলিটি থাকে না। দেখা গেল মানুষের জীবননাশের কারণ হয়ে গেছে।”
আর এভাবেই চলছে দার্য্য পদার্থের বিক্রি এবং সংরক্ষণের অনিয়ম।
স্থানীয়রা জানান, “ফুটপাথে অনেক দোকান চালু আছে, আশা করি এগুলো একটা ডিসিপ্লিনে আনা হবে। হঠাৎ দেখা গেল সিগারেটের আগুন পড়ে একটা ব্রাস্ট হয়ে গেল।”
খোলা জায়গায় মাসের পর মাস পরে থাকে গ্যাসের সিলিন্ডার। মানা হয় না নির্দিষ্ট তাপমাত্রা। বিক্রির আগে গ্যাস ভরার যে নিয়ম রয়েছে, তা মানে না কোম্পানিগুলো।
দোকান ব্যবসায়ীরা জানান, “কোনদিন কোনো কোম্পানি থেকে একজন কর্মী এসে কোন দোকানদার বা স্টল মালিককে বলে যাবেন যে, এটা এভাবে ব্যবহার করবেন। আজ পর্যন্ত এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।”
সিলিন্ডার গ্যাস কোম্পানির কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার অনেক অভিযোগ আছে সেগুনবাগিচার বিস্ফোরক পরিদফতরের। যার প্রমাণ মিললো রাস্তার ধারে ফুটপাথের দোকানগুলোতে। জনাকীর্ণ স্থানে ব্যবহার হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার।
সচেতন নাগরিকরা জানান, “২০১৯ সালে চকবাজারে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়াটা অনেক জরুরি ছিল।” এ ব্যাপারে যাতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এই দাবি জানান তারা।
যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। যে কারণে একের পর এক ঘটছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা।
এএইচ/