সমুদ্র গবেষণায় মূল্যবান ইউরেনিয়ামের সন্ধান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২১, ১৯ মার্চ ২০২২
তিন বছরে সমুদ্র গবেষণায় ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। ভারি ধাতু বা খনিজ পদার্থ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানে গ্রহণযোগ্য ও বেশি মূল্যবান ইউরেনিয়ামের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যা উত্তোলনে এখন সক্ষমতার উপায় খুঁজছেন তারা।
দেশের প্রথম ও সমুদ্রবিদ্যার একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে রামুর পেঁচারদ্বীপে। ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ একর জমিতে স্থাপিত ইনস্টিটিউটটিতে ২০১৮ সালে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়।
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এ প্রতিষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে ছয়টি বিভাগে চলছে গবেষণা কাযক্রম। রয়েছে পাঁচটি গবেষণাগার, একটি ওশানোগ্রাফিক ডাটাসেন্টার, অডিও ভিজুয়্যাল সুবিধার সেমিনারকক্ষ, প্রশিক্ষণ শ্রেণিকক্ষ, মেডিক্যাল সেন্টার, ভিজিটিং সায়েন্টিস্ট ডরমেটরি এবং কোয়ার্টার।
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে অনুসন্ধান করে মূল্যবান খনিজ পদার্থ পাওয়ার কথা বলছেন এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, “উপকূল থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত সমুদ্রের গভীরতায় যা যা কিছু আছে আমরা তা অনুসন্ধান করেছি। তাতে ভারী ধাতু বা খনিজ পদার্থ পেয়েছি। তার মধ্যে উল্লেখ করার মত ইউরেনিয়ামও পেয়েছি। যেটি আন্তর্জাতিক মানের গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়েও বেশি।”
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে খুব দ্রুতই বিশ্বমানের মেরিন অ্যাকুরিয়াম প্রতিষ্ঠায়ও আশাবাদী তিনি।
সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, “জায়গাটুকু এখনও খালি আছে এবং প্ল্যান করা হয়েছে। যত ধরনের কোয়ারি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়া হয়েছিল আমরা সেগুলো দিয়েছি। আশা করা যায় যে, খুব দ্রুত একটা আন্তর্জাতিক মানের অ্যাকুরিয়াম ওখানে দেখতে পাব।”
দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন, সমুদ্র উপকূল ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, খনিজসম্পদ উত্তোলন এবং সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারসহ পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নেও অপার সম্ভাবনা তৈরি করেছে ইনস্টিটিউটটি।
এএইচ/