ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

ধ্বংসযজ্ঞ আর লাশের মধ্য থেকে রক্তরাঙা সূর্যোদয় (ভিডিও)

প্রণব চক্রবর্তী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫০, ২৬ মার্চ ২০২২

একাত্তরে ২৫ মার্চের কালরাতের ধ্বংসযজ্ঞ আর লাশের মধ্য থেকে রক্তরাঙা সূর্যোদয়ের পূর্বাভাস ছিলো এদিন। পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে যান স্বাধীনতার ঘোষণা। যে বার্তা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বার বার প্রচার হয়। শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম, মুক্তির যুদ্ধ।

৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ স্বাধীনতার মন্ত্রেই জেগে ওঠে বাঙালি। পরের দিনগুলোতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর আলোচনার নামে কালক্ষেপণের সময়ে বাঙালি নিয়ে নেয় যুদ্ধের প্রস্তুতি।

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নির্বিচারে বাঙালি নিধন শুরু করে। গণহত্যায় মৃত্যুপুরি হয় ঢাকা। বিশ্ব সে চিত্র দেখে পরের দিন ২৬ মার্চ সকালে।

শুধু রাজধানী নয়, চট্টগ্রাম, যশোর সেনানিবাসের বাঙালি সৈন্যদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে পাকিস্তানি বাহিনী। হত্যা করা হয় নিরস্ত্র বাঙালিকে, চলে ধ্বংসযজ্ঞ।

দেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই স্বপ্ন পূরণে কারাগারে যাবার আগে বার্তা রেখে যান বাঙালির জন্য। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সেই ঘোষণা। 

মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনয় শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, “বঙ্গবন্ধু ২৫ মার্চ রাত ১২টার সময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। এই যে কৌশল তিনি অবলম্বন করেছিলেন এর ফলে শক্তিগুলো তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলতে পারল না। কারণ তিনি নির্বাচন করেছিলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন এবং গণহত্যা শুরু করার পরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন।”

ওয়ারলেসের মাধ্যমে সেই বার্তা পৌঁছে যায় ইপিআরে। অস্ত্রে সজ্জিত বাঙালি সৈন্যরা অবস্থান নেয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সর্বস্তরের মানুষ।

নয় মাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের আত্মদান ও লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, বিশ্ব দরবারে উড়ে লাল-সবুজের আমাদের পতাকা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি