ভর্তুকি বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে চায় সরকার (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২২:০৬, ৩ জুন ২০২২ | আপডেট: ২২:০৯, ৩ জুন ২০২২
ভর্তুকি বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে চায় সরকার। খাদ্য ও শিল্পোৎপাদনও রাখতে চায় গতিশীল। তাই আসছে বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে ২০ শতাংশ। যার বড় অংশ যাচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও রাসায়নিক সারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভর্তুকির অর্থ জোগান দেয়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এমনিতেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য ও সারে বড় অংকের ভর্তুকি দেয় সরকার। তবে এবার পরিস্থিতি আরো জটিল। দ্রব্যমূল্য নিয়ে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
এমন বাস্তবতায় ভর্তুকি বাড়ানো ছাড়া আপাতত বিকল্প দেখছে না সরকার। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আসছে বাজেটে ভর্তুকি-প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ থাকছে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি।
সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি ১৮ হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে। কৃষকের ওপর চাপ কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে সারে ভর্তুকি দেয়া হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। জ্বালানি তেল ও গ্যাসেও বাড়ছে ভর্তুকি।
অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে কিছুটা মূল্য সমন্বয় না করলে ভর্তুকির চাপ আরো বাড়বে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ভর্তুকির অর্থ জোগান দেয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
ভর্তুকির চাপ কমাতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং সাশ্রয়ে দুর্নীতি ও অপচয় রোধের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি পণ্য ও সেবা খাতে উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ তাদের।
এদিকে, বাজেটে দেয়া ভর্তুকির সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছায়, তাই খাদ্য ও কৃষিবান্ধব কর্মসূচির আওতা আরো সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসি