বাংলাদেশকে পাশে রাখতে চায় চীন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:০৬, ৭ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৫:০৬, ৭ আগস্ট ২০২২
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওয়ান চায়না পলিসিতে ঢাকার সমর্থনে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পাশে রাখতে চায় চীন।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর সাথে বৈঠকে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, প্রফেনসিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ হয় বৈঠকে। শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা এক ভাগ বাড়িয়ে ৯৯ শতাংশ এবং স্টুডেন্ট ভিসা চালুর বিষয়ে রাজি হয় চীন।
সাংস্কৃতিক বিনিময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিসন সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের এডুকেশন এক্সচেঞ্জসহ চারটি চুক্তি ও এমএইউ স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মধ্যে।
পরে, বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
দারিদ্রকে জয় করে উন্নত জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সব মানুষের অভিন্ন ভাগ্য গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সাথে রাখতে চায় চীন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “কিছু রাষ্ট্র আছে পৃথিবীতে যারা ভুল বুঝে বা আমাদেরকে মিস ইনটারপ্রেট করে। এই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।”
রোহিঙ্গাদের ভার বইবার সাধ্য বাংলাদেশের নেই। চীনের মধ্যস্থতায় সংকট সমাধানের যে উদ্যোগ, তা বেগবান করার অনুরোধ ছিল বৈঠকে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চীন বলেছে যে তারা চেষ্টা করছে, মায়ানমারের ইন্টারন্যাল চ্যালেঞ্জগুলোতে শুধু বাংলাদেশই নয় অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।”
প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং’র সফরের সময় হাতে নেয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দুই দেশ।
এএইচ