৯টি অপারেশনেও সুস্থ করা যায়নি ১২ বছরের লিখনকে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১২, ৩০ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১২:২১, ৩০ আগস্ট ২০২২
জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত শরীরের হাড় ভেঙেছে একশ’র অধিক। বিষয়টি বোঝা গেছে ৩৪ বার, অপারেশন হয়েছে ৯টি। কিন্তু তবুও সুস্থ করা যায়নি ১২ বছরের লিখনকে। চিকিৎসক বলছেন, অস্টিও জেনেসিস ইম্পারফেক্টা নামক দূরারোগ্য ব্যাধির এ চিকিৎসা চলবে দীর্ঘদিন। সুচিকিৎসায় স্বল্প আয়ের বাবা সহযোগিতা চেয়েছেন দেশবাসীর।
লাবিব আল লিখন, বয়স ১২ ছুঁই ছুঁই। এ বয়সে যখন তার ছুটে বেড়ানোর কথা সেই সময়ই তাকে শুয়ে অথবা বসে থাকতে হয় বিছানায়।
মায়াভরা চোখে শুধু তাকিয়ে থাকা সুদূর স্বপ্নের দিকে।
লিখনের কথা, “ঘুরতে ও স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে তার।”
একটু আনন্দে লাফ দিয়ে ওঠা কিংবা অসাবধানতায় বসে থেকে বিছানায় হেলে যাওয়া। তাতেই শরীরের হাড় ভেঙে যায় লিখনের। শুয়ে নয় তাকে ঘুমাতে হয় বসে বসে।
লিখনের মা নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, “ডাক্তার বলেছে ওর হারগুলো পাটখড়ির চেয়েও নরম। ১০ বছরের ভেতর তার হারগুলো ৩৪ বার ভেঙেছে। খাওয়া থেকে শুরু করে বাথরুম নিজে নিজে কিছু করতে পারে না।”
আড়াই মাসের ব্যাবধানে চিকিৎসার জন্য তাকে আবারও ভর্তি হতে হয়েছে রাজধানীর জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে। ১৮ লাখ টাকার অধিক খরচ হয়েছে এখন পর্যন্ত। চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম পরিবার। সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী বাবা আব্দুল ওয়াহাব।
চিকিৎসক বলছেন, লিখনের এ রোগ পুরোপুরি সারবার নয়। তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা গেলে ১৭-১৮ বছর বয়সে সে পৌঁছাবে সুস্থতার কাছাকাছি।
জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালের সার্জন ডা. সারোয়ার ইবনে সালাম বলেন, “অস্টিও জেনেসিস ইম্পারফেক্টা নামে একটা রোগ। এটা মূলত হাড়ের রোগ। রড দিয়ে দিলাম যাতে না ভাঙ্গে। বাচ্চা বড় হলেই সেই বড় হওয়া জায়গা থেকে আবার ভাঙে। সুতরাং ওর বড় হওয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই ভাঙা ব্যাপারগুলো থাকবে। যদি আমরা চিকিৎসা করি তাহলে হাড় ভাঙা কমে আসবে এবং অপারেশনের মাধ্যমে যদি হাড়গুলো সোজা করতে পারি তাহলে রোগি হাঁটতেও পারবে।”
লিখনকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সমাজের বৃত্তবানরা সাহায্য করতে পারবেন স্ক্রিনে দেখানো এ সকল হিসাব নম্বরে।
শারীরিক যেসব ত্রুটি রয়েছে সেগুলো হয়তো পুরোপুরি ঠিক হবে না। কিন্তু সুচিকিৎসায় লিখন হয়তো ফিরে তার সুস্থ্য জীবন। তার জন্য প্রয়োজন মানবিক সহযোগিতা। আসুন আমরা লিখনের পাশে এসে দাঁড়াই। ও যেন সুস্থ্য জীবনে ফিরে যেতে পারে।
এএইচ