ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

গ্যাসফিল্ডে জমি লিজ দিয়ে বিপাকে কৃষক (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্নিয়া, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৪, ৩০ অক্টোবর ২০২২

চাষের জমি গ্যাসফিল্ডের জন্য লিজ দিয়ে বিপাকে নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের কয়েকশ’ কৃষক। কূপ খননের কাজ আপাতত বন্ধ হওয়ায় আর কখনই চাষের জমি ফিরে পাবেন কিনা- এ নিয়ে আছেন চরম অনিশ্চয়তায়। দিনক্ষণ না জানালেও বাপেক্স বলছে, কূপ খনন না হলে জমি ফেরত পাবেন কৃষক।

এই গ্রামে ব্যক্তিগত গাড়ি দূরের কথা ঠিকমতো রিক্সা-ভ্যানও চলতো না বছর দশেক আগেও। রাস্তা ছিল না সেই গ্রামের কূপে তেল খননের কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীরা কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল গাড়ি দেখেন, সাথে দেখেন ভারি যন্ত্রপাতি টানার চল্লিশ চাকার গাড়িও।

২০০৯-২০১০ সালে সুনামগঞ্জের নেত্রকোনায় প্রায় ২শ’ ৬৯ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে দ্বিমাত্রিক ভূ-কম্পন জরিপ করে বাপেক্স। প্রাথমিকভাবে সেখানে গ্যাসের খোঁজ মিলে। ২০১২ সালে শুরু হয় খননের কাজ। তবে ২০১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মিটার খননের পর সেখানে গ্যাসের সন্ধান পায়নি বাপেক্স। ফলে কূপ খনন বন্ধ করে দেয় তারা।

স্থানীয়রা জানান, “তখন বড় বড় কর্মকর্তারা বলেন সুনেত্র গ্যাসফিল্ড এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজুদ গ্যাস।”

বাপেক্স বলছে জরিপ অনুযায়ী আনুমানিক মজুদের হিসাবে এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহদাকৃতির গ্যাসফিল্ড হওয়ার কথা। এখানে মোট গ্যাসের মজুদ ২.৭৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। 

গ্রামবাসীরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন এই গ্যাস ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে তাদের জীবন-যাত্রা বদলে ফেলার।

গ্রামবাসীরা জানান, এই এলাকাতে যদি গ্যাস সরবরাহ করা হয়, জাতীয় গ্রিডে দিবে এবং আমাদেরকেও দিবে এমন ধরনের একটা আশা-ভরসা ছিল।

এখন সেখানে ঘর-বাড়ি সব নষ্ট হচ্ছে, নোংড়া জমেছে, নিরাপত্তার বালাই নাই। বাপেক্সের কর্মকর্তারা জানান, এখনই আশাহত না হতে।

বাপেক্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “৫ হাজার ৭শ’ বা ৮শ’ মিটারে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা নতুন কূপের ডিজাইন সেভাবেই করবো। যেন ৬ কিলোমিটার যেতে পারি। যার জন্য আমাদের যে ঘরবাড়ি রয়েছে ওইগুলো ব্যবহার করা হবে।”

সুনেত্র দ্বিতীয় কূপ কবে শুরু হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করেনি বাপেক্স। সাধারণ মানুষের কাছে এখন প্রশ্ন- কর্তারা যাই বলুক না কেন, একসময় কেন মানুষকে বড় বড় স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে এই এলাকার মানুষের আমূল অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়ে যাবে। যদিও এর আগে তারা অনেক গবেষণা করেছেন। সুনিশ্চিত না হয়ে কেনই এতো টাকা এখানে অপচয় করা হলো।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি