ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিদেশগামী শিক্ষার্থীরা বছরে নিয়ে যাচ্ছে ২ বিলিয়ন ডলার (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩, ২৮ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:০৫, ২৮ নভেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বছরে দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। দেশেই মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের। 

ইউনেস্কো বলছে, ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪৯ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল আরও কম। 

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের তথ্য অনুসারে, গত এক দশকে দেশটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে তিনগুণ। কেবল ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষেই পড়তে গেছেন ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, যা আগের বছরের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি। 

দেশেই ভালো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এই তরুণও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন।

এই শিক্ষার্থী বলেন, “ব্যাংকগুলো স্টুডেন্ড ফাইল খুলতে যাচ্ছিল না। আমি অনেকগুলো ব্যাংক ঘুরেছি। প্রিমিয়াম ব্যাংক আমাকে সাহায্য করে, স্টুডেন্ট ফাইল খোলার জন্য।”

স্কলারশিপ পেলেও গ্র্যাজুয়েশন করতে তার টিউশিন ফি বাবদ খরচ পড়তে পারে ৬০ লাখ টাকা। আনুষঙ্গিক খরচতো আছেই।

বিদেশীগামী শিক্ষার্থী বলেন, “সেমিস্টারওয়াইজ স্টেুডেন্ট ফিস পড়বে ৬০ হাজার ডলার। প্রথম সেমিস্টার ফি এবং ফ্লাইড খরচ মিলিয়ে আমার ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা লাগবে।”

কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়ায়ও বাড়ছে বাংলাদেশিদের পড়াশোনার হার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়ে আয় করে দেশে পাঠালেও বিশাল অংশ পরিবার থেকে নিয়েই খরচ করছেন। 

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ভালো ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা নিতে যাবে, এটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু যে কোনো জায়গায়, যে কোনো ইউনিভার্সিটি, যে কোনো দেশে গেলে সেটা কতোটা উপকারে আসবে তা বোধগম্য নয়। মাস্টার্স ও পিএইচডি লেবেলে স্কলারশিপ নিয়ে যেতো। এখন কিন্তু সেটা নয় তারা সরাসরি বেতন দিয়েই চলে যাচ্ছে। এটা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। তাতে কম করে হলেও ২ বিলিয়ন চলে যায়।”

দেশে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠায় শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন বলেও মন্তব্য তাদের। 

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা, প্রতিষ্ঠানে যে ঐতিহ্য, কোয়ালিটি- সেটা আমরা হারিয়ে ফেলেছি বা গড়তে পারিনি। সে কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশে থাকছে না। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যে আউটলুকটা সেটা যদি স্বচ্ছ না হয়, সেটা যদি উন্নত পরিবেশের দিকে না যায় তাহলে অভিভাবকরাই বলবেন তোমরা বিদেশের দিকে যাও।”

অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে বাড়ি করে দিচ্ছে বলেও জানান অর্থনীতিবিদরা।

এই অর্থনীতি বলেন, “যখন মানুষ বিদেশে থাকে, তার সম্পদ তাকে অনুসরণ করে।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি