কাজে আসছে না বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১৩, ৩ জানুয়ারি ২০২৩
বিভিন্ন ত্রুটি ও অস্পষ্টতা থাকায় মেয়েদের সুরক্ষায় কাজে লাগছে না সংশোধিত বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন। বিশেষ বিধান থাকায় আইনটির অপব্যবহার ঘটছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয় ও নজরদারি না থাকায় বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটিগুলোও অকার্যকর।
২০২১ সালের মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী নারীর বাল্যবিয়ের হার এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে পুরোপুরি নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ২০১৭ সালে করা হয়েছে সংশোধিত নতুন আইন ও বিধিমালা।
নানা উদ্যোগের পরও গত এক বছরে দেশে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার বেড়েছে ১০ শতাংশ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএ’র পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারিকালে দেশের ২৭ শতাংশ মেয়ের বাল্যবিয়ে হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় নয় সরকারি কমিটিগুলো। রয়েছে বাজেট সংকট, ভুয়া জন্মনিবন্ধনের হিড়িকসহ নানা সীমাবদ্ধতা। ফলে আইনের ফাঁক গলে বাড়ছে বাল্যবিয়ে ও স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার।
গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশের অধিকারকর্মী সুমাইয়া সিদ্দিকী বলেন, “যে কোনো একটা গ্রামে যদি সক্রিয় থাকে কমিটি, দেখা যাচ্ছে মা-বাবা আরেক গ্রামে নিয়ে বিয়ে দিচ্ছেন। তো বাল্যবিয়েটা থাকছে না, অন্য গ্রামে গিয়ে বিয়েটা হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কিছু অসাধু লোকজন যারা নকল নোটারি বা হলফনামা তৈরি করছেন, কিছু কাজী আবার এটার সঙ্গে জড়িত।”
বাল্যবিয়ে ঠেকানোর পাশাপাশি ত্রুটি ও অস্বচ্ছতা দূর এবং মেয়েদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষায় আইনের প্রয়োগের পরামর্শ গবেষকদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, “যে বিধি এসেছে সেখানেও এটাকে স্পষ্ট করা হয়নি। সুতরাং আইনের জটিলতার সঙ্গে মোবাইল কোর্টের এক্তিয়ারের বিষয়টিও অস্পষ্ট। মোবাইল কোর্টের বিধি দরকার আছে, যেখানে বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।”
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে ৬৫ শতাংশ মেয়ের বিয়ের গড় বয়স ১৫ দশমিক ৫৩।
এএইচ