হাড় কাঁপানো শীতে স্কুলে যেতে অনিহা শিক্ষার্থীদের (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৭:২০, ৮ জানুয়ারি ২০২৩
হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে খোলা রয়েছে রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনিহা সত্বেও স্কুলে যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
অভিভাবকরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা উচিত। আর শিক্ষকরা বলছেন, মন্ত্রণালয় না চাইলে স্কুল বন্ধ রাখার সুযোগ নেই।
ঘড়ির কাঁটায় সময় সকাল সাড়ে সাতটা। রাজধানীতে এই মুহুর্তে তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষের এমন কনকনে শীত সকালে স্কুলের যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বই উৎসবের পর নতুন বইয়ের সাথে বাচ্চাদের এখন পরিচয় হবার সময়। সেইসাথে পাঠদান। কিন্তু দেশজুড়ে যখন কনকনে শীত, তখন নানা রোগবালাইয়ের আশংকার মধ্যেও শিশুদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে শংকিত অভিভাবকরা।
একজন অভিভাবক বলেন, বাচ্চা সকালে উঠতেই চায় না। কান্না করতে করতে গেট পর্যন্ত আসে। খালারা নিয়ে যায় এরপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। অন্য একজন অভিভাবক বলেন, আমার বাচ্চার অলরেডি টনসিল হয়ে গেছে।
তীব্র শীতে স্কুলে আসতে অনিহা কোমলমতি শিশুদেরও। রাজধানীর একটি স্কুলের এক শিশু শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে আসতে কষ্ট হয়, তবুও আসতে হচ্ছে। সকালে অনেক বেশি শীত থাকে।
নিয়মানুযায়ী ক্লাস শুরু হয়েছে ঠিকই কিন্তু ফুলসেট বই হাতে পায়নি অনেক শিক্ষার্থী। তাই শ্রেণী কক্ষে পাঠদানেও ঠিলেঢালা ভাব। এমন বাস্তবতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার দাবি অভিভাবকদের।
এদিকে, শীতের তীব্রতায় ক্লাশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, যদিও ক্লাশে শতভাগ পাঠদান শুরু হয়নি। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়া স্কুল বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়।
আর শিক্ষার্থীদের গরম কাপড় পরিধান করানোর পাশাপাশি তাদের সুরক্ষায় অভিভাবকদের আরো সচেতন থাকার পরামর্শ শিক্ষকদের।
এসি