ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

এখনই মেট্রোরেল নিয়ে হতাশার কিছু নেই (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪০, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১২:৪২, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

এ বছরের শেষ নাগাদ পরিপুর্ণ রুটে চলাচল করবে মেট্রোরেল। প্রকল্প নেয়ার আগে সমীক্ষা যাচাইয়ে যেসব সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সেগুলোর মূল্যায়ন জরুরি। টেকসই গণপরিবহন গড়তে এই মেট্রো’র সফলতা বা বিফলতার ফারাক বিবেচনায় ভবিষ্যতে প্রকল্প নিতে হবে। এমন পরামর্শ পরিবহন বিশেষজ্ঞদের। 

ঘনবসতিপূর্ণ নগরী, ঘন ঘন বাঁক। অনেক কাছাকাছি একেকটি স্টেশন। এমন বাস্তবতায় আকাবাঁকা পথে পূর্ণগতিতে মেট্রো পরিচালনা করা সত্যিই কঠিন। নির্মাণে অনেক খরচ হয়েছে বলে ভাড়াটাও কিছুটা বেশি। প্রথমদিকে উৎসাহী-আবেগীদের ভিড় থাকলেও এখন প্রয়োজনে মেট্রোতে চাপার যাত্রী নেই ততোটা।

যদিও সমীক্ষা যাচাইয়ে বলা হয়েছিল, প্রতি ঘন্টায় ১শ’ কিলোমিটার গতিতে চলবে; ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। স্টেশনের আশেপাশের জমির যথাযথ ব্যবহারও হবে। 

পূর্ণাঙ্গ রুটে পুরোপুরি চালু না হলেও এখনই মেট্রোর প্রয়োজনীয়তার বোঝাপড়া জরুরি। 

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সামসুল হক বলেন, “অনেক সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে কিন্তু অর্জনটা হয় যে আমি পারিনি। ওটা যদি হয় পরের যে উন্নয়নগুলো আছে- ভারি উন্নয়নে যাবো নাকি সস্তার উন্নয়নে যাবো ভাবতে হবে। আউটকাম বেইজড প্যারামিটারগুলো যদি মাথার মধ্যে নেই তাহলে হয়তো মেট্রো ঢাকার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে।”

এমনিতেই ২০৩০ সাল নাগাদ পাঁচটি লাইনের পূর্ণাঙ্গ মেট্রো নেটওর্য়াক গড়ার পরিকল্পনা সরকারের। পরের উন্নয়নের পথে হাঁটার আগে বাস্তবতা নিরিখের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

অধ্যাপক ড. সামসুল হক বলেন, “ইউরোপে মেট্রো করার জন্য পয়সা আছে কিন্তু রাইডারশীপ নেই, পপুলেশন এক কোটিও নাই। আর আমাদের পপুলেশন ঢাকার মধ্যেই দুই কোটি, বিকল্প নাই। এই সম্ভাবনাটাকে যদি একবিংশ শতাব্দীতে কাজে না লাগাতে পারি তাহলে একটা অক্ষমতা হবে। অক্ষমতাটা আরও দ্বিগুণ হবে যদি প্রথমটার পারফর্মেন্স দেখে ডাউনলাইনে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে যাবো সেগুলোতেও যদি ভুলের পুনরাবৃত্তি করি তাহলে ব্যালান্ডার হয়ে যাবে।”

মেট্রোর ফল যদি আশানুরুপ না হয়, তবে একই খরচে চাহিদা মতো মনোরেল এবং ক্ষেত্র বিশেষে লাইট রেল ট্রানজিট বা এলআরটি তৈরি হতে পারে অনায়াসেই।   

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, “কি বলেছে কনসালটেন্ট সেটা নয়, বাস্তবতা হলো ৩৫ শতাংশ যাত্রী প্রতি ঘণ্টায় নিতে পারি না। কেন আমি ভারি রেলভিত্তিক গণপরিবহন করবো, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এলআরটি করছে, মনোরেল করছে। আমি যদি মেট্রো বিনিয়োগ দিয়ে ১০টা এলআরটি করতে পারি। বাইরে যেটা শত কিলোমিটারে চালায়, তার যে অ্যালাইনমেন্ট আমাদের সেই অ্যালাইনমেন্টটা না।”

পরিচালনা ব্যয় মেটাতে কখনোই শুধু যাত্রীর ভাড়ায় নির্ভরশীল না থেকে আনুষঙ্গিক উৎসগুলো থেকে পূরণের রেওয়াজ সব দেশেই। কাজেই এখনই মেট্রো নিয়ে হতাশার কিছু নেই বলেও মত এই গণপরিবহন বিশেষজ্ঞের। 

অধ্যাপক ড. সামসুল হক বলেন, “নন-অপারেটিং যে রেভিন্যু আছে সেইটা ইনকাম করে যাত্রীর সাসসিডি দিবো। যাতে করে আমজনতা মেট্রোতে আসে।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি