ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাংলা ভাষার জন্য রক্ত ঝরে ভারতের আসামেও (ভিডিও)

প্রণব চক্রবর্তী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বাংলা ভাষার জন্য রক্ত ঝরে ভারতের আসামেও। বায়ান্ন’র একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মত্যাগে উদ্ধুব্ধ হয়ে অকাতরে জীবন দান করেন অসমীয়া বাঙালিরা। ১৯৬১ সালের ১৯ মে ১১ জন ভাষাশহীদের প্রাণের বিনিময়ে আসামের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় বাংলা। 

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তস্নাত অধ্যায় ইতিহাসে অমর দৃষ্টান্ত। বছরঘুরে আসা দিনটিতে অবনত মস্তকে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে বাঙালি।

বাংলা ভাষার ইতিহাসে এমনি আরেকটি দিন ১৯ মে। ১৯৬১ সালের এই দিনে ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে বাংলাকে সরকারি ভাষার দাবিতে শহীদ হন ১১ জন। গ্রেফতার করা হয় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষকে। বলছিলেন এই অসমীয়া নাগরিক।

ভারতীয় বাচিক শিল্পী সুকুমার বাগচি বলেন, “অসমে দ্বিতীয় ভাষাগোষ্ঠী হচ্ছে বাঙালি। সেখানে এখন প্রায় ১ কোটি বাঙালি। তিনটি জেলায় প্রচুর বাঙালি একসঙ্গে রয়ে গেছেন। তারা এটা মেনে নিতে পারেননি। আমার বিশ্বাস, ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদদের অবদান দেখে তারা অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তীকালে ভাষা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং ১৯৬১’র ১৯ মে সেখানে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন।”

বাংলাদেশের অহঙ্কার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের। বাংলার প্রতি অকুন্ঠ শ্রদ্ধাবোধ থেকে এ’দিনে অসমীয় শহীদদেরও শ্রদ্ধা জানানো উচিৎ।

সুকুমার বাগচি বলেন, “মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমি- এই দুটো মানুষের জীবনে অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ। যেমন আমি আমার নিজের মাতৃভাষাকে ভালোবাসবো, অন্যের মাতৃভাষাকেও সমানভাবে ভালোবাসবো। তা না হলেই এই সমস্যাটা হয়। অন্যান্য জায়গায়ও যদি মানুষ নিজেদের মাতৃভাষা নিয়ে সচেতনতা প্রকাশ করে এবং সেইভাবে আগ্রহী হয়ে ভাষাকে সম্মান জানায় তাহলে সেটা খুবই আনন্দেরই কথা হবে।”

দেশ ভিন্ন হলেও ভাষার দাবি একই। তাই ১৯ মে দিনটিও হয়ে উঠুক বাংলা আর বাঙালির গর্বের দিন। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি