ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পদ্মাসেতু দিয়ে পুরোপুরিভাবে ট্রেন চলাচলের অপেক্ষা (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৯, ১২ এপ্রিল ২০২৩ | আপডেট: ১৩:০১, ১২ এপ্রিল ২০২৩

লাইন বসলেও এখনও পরিপূর্ণভাবে সিগন্যাল ও টেলি যোগাযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে। এই কাজের অগ্রগতি শতকরা ৪২ ভাগ। এছাড়াও রেলসেতুর অন্যান্য অংশগুলোও ঠিক মত কাজ করছে কিনা, তা পরখ করাও নিয়ম সারাবিশ্বে। বলা হচ্ছে, কমপক্ষে ছয় মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চলবে ট্রেন। 

পাথরবিহীন রেল বসেছে দ্বিতল পদ্মা সেতুর নীচ তলায়। কনক্রিট ঢালাইয়ে সবগুলো স্লিপার আটকানো। যাতে দ্রুতগতিতে চলতে পারে ট্রেন। শঙ্কা একেবারেই নেই, তবুও দুর্ঘটনায় বগি লাইনচ্যুতির ক্ষতি এড়াতে মূল লাইনের মাঝে বসছে সহায়ক আর একটি লাইন। 

রুটে লাইনগুলো সমান্তরালে বসেছে কিনা, তার পরীক্ষা করা হবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। সেতুর ওপর তলা ও নীচ তলার সংযোগগুলো সমন্বয় কতটা রয়েছে দেখা হবে ট্রেন চালিয়ে। 

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, “ঝাঁকুনি কি রকম হচ্ছে, স্পিড আমরা কতটুকু নিতে পারছি এবং ব্রিজ অতিক্রম করার সময়ে ভাইব্রেশন বা অন্যান্য কিছু আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। অনেক কাজ বাকি আছে।”

প্রকল্পের প্রকৌশলী সাদমান শাহরিয়ার বলেন, “ক্যাম্পিং মেশিন এখনও আসেনি। ক্যাম্পিং মেশিন ব্যবহার করে রেললাইনের  ড্যাম্পিং ও এলাইনমেন্ট ঠিক করা হবে।”

ভাঙ্গা থেকে মাওয়া স্টেশন ৪২ কিলোমিটারে মোট ৫টি স্টেশনে টেলি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন কাজ শেষ হয়নি এখনও। তবে এই কাজ এগিয়েছে ৪২ ভাগ; লাইন বসেছে ৬০ ভাগ। 

প্রকৌশলী সাদমান শাহরিয়ার বলেন, “কোন ট্রেনটা এসে কোন লাইনে যাবে এটা স্টেশন মাস্টার সিগন্যাল ও টেলিকমের মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন। এটা এখন সম্ভব নয়। যতোদিন পর্যন্ত এই সিগন্যাল ও টেলিকম আধুনিক না হবে ততোদিন পর্যন্ত মেন্যুয়ালি।”

বাণিজ্যিক চলাচলের আগে এ ধরণের পর্যবেক্ষণ নিরাপত্তার স্বার্থেই হয়। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছর ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চলবে রেল। 

প্রকল্পের প্যানেল অব এক্সপার্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন বলেন, “একটা মাইনর কারেশনের সুযোগ আছে এবং সেগুলো কতটুকু দরকার তা জরিপ করে অপটিমাম অবস্থায় রাখা, যাতে ট্রেনটা অপটিমাম স্পিডে ৭ কিলোমিটার যেন পার হয়ে যেতে পারে।”

প্রকল্পের ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী বলেন, “লাইনের ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমরা যেসব টেকনোলজি ব্যবহার করেছি এবং যেভাবে কাজ করেছি তাতে মনে হয় না কোনো ডিভিশন হবে।”

অন্যদিকে, ভাঙ্গা থেকে যশোর বাদ বাকি পথের রেললাইন বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে সমান গতিতে। পরিকল্পনা মতে, এই অংশে ২০২৪ সালে পরিপূর্ণভাবে চলবে ট্রেন। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি