সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এসএস পাওয়ারে কম কয়লায় বেশি বিদ্যুৎ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫২, ৬ মে ২০২৩
কম কয়লায় বেশি বিদ্যুৎ। ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমনও সহনীয়। প্রকল্পের চারপাশ ঘিরবে পরিবেশবান্ধব গাছগাছালিতে। এমনকি সমুদ্রে পতিত গরম পানি ঠাণ্ডা করতে নেয়া হয়েছে কার্যকরী পদক্ষেপ। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এভাবেই গড়ে উঠেছে সুপারক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসএস পাওয়ার।
সাগরের কিছু অংশ বেঁধে ফেলে ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করবে এই ব্রেক ওয়াটার। যাতে সহজেই জেটিতে নোঙর করবে জাহাজ। বাংলাদেশে এই প্রথম সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার তৈরি করেছে এস আলম গ্রুপের এসএস পাওয়ার।
এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও এসএস পাওয়ারের পরিচালক আব্দুস সামাদ লাবু বলেন, “৪.১ কিলোমিটার ব্রেক ওয়াটার তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে জেটি পর্যন্ত শীপ নিয়ে আসা হবে।”
উৎপাদিত বিদ্যুৎ হবে উচ্চ কার্যকারিতাসম্পন্ন। সবুজের সমারোহ ঘিরবে প্রকল্পের চারপাশ। পরিবেশের ন্যুনতম ক্ষতি যাতে না হয়, তার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা করেছে এসএস পাওয়ার। নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমন হবে কম।
এসএস পাওয়ারের ডেপুটি ম্যানেজার (সিভিল) ইঞ্জিনিয়ার প্রীতম পাল বলেন, “কয়লার মধ্যে সালফারের পরিমাণটা কম থাকবে। এটা আমাদের জন্য খুবই প্লাস পয়েন্ট। এতে দূষণ কম হবে।”
সর্বাধুনিক কোল ইয়ার্ড তৈরি হয়েছে এরিমধ্যে। যা ছাড়িয়ে গেছে চীন, তাইওয়ান, ভারত, জাপান কিংবা মালয়েশিয়াকেও। যে কারণে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থাকবে শূণ্যের কোটায়।
এসএস পাওয়ারের পরিচালক আব্দুস সামাদ লাবু বলেন, “একটা কোস্টাল বেইজড ছিল, এখানে কিছুই ছিলনা। সাগারের পারে টোটাল জায়গাটাকে রি-ক্লেইম করে এমনভাবে প্রোটেকশন করেছি যাতে ভবিষ্যতেও সেফটি থাকে। এটা সবচেয়ে আধুনিক একটা প্রজেক্ট।”
ক্ষতিকর ধুলিকণা ও সালফার নিঃসরণের মাত্রা রয়েছে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে। বিশ্বব্যাংক নির্ধারিত মান বজায় রেখেই কার্যক্রম চলছে এস এস পাওয়ারের।
গন্ডামারার এই অববাহিকায় বেশ ক’বছর আগেও ছিল জলদস্যুদের তাণ্ডব এবং ডাকাতের আনাগোনা। হতো লবণচাষ, এমনকি সেই লবণেরও সুফল ভোগ করতে পারতেন না চাষীরা। সেসব জায়গা দেখলে এখন চেনার উপায় নাই। কারণ, চায়নার সেফকো থ্রি এবং বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপ মিলে তৈরি করেছে এসএস পাওয়ার। যার প্রভাবে আলোকিত গোটা দেশ।
এএইচ