ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গাদের খাদ্য বরাদ্দ কমিয়েছে জাতিসংঘ (ভিডিও)

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৮, ২১ জুন ২০২৩

প্রয়োজনীয় অনুদান না পাওয়ায় রোহিঙ্গাদের খাদ্য বরাদ্দ কমিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি জাতিসংঘ খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দেওয়ায় অপরাধ প্রবণতা, অস্থিরতা, পুষ্টিহীনতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 

বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্প কক্সবাজারে। উখিয়া ও টেকনাফের মোট ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। 

২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা আশ্রয় নেন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ে। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর কেটেছে বাংলাদেশের মাটিতে।

রোহিঙ্গাদের নানা জটিলতায় প্রত্যাবাসন হয়নি এখনও। এতে করে ক্যাম্পে বাড়ছে আর্থসামাজিক অস্থিরতা। 

রোহিঙ্গারা জানান, এখন ৮শ’ ২০ টাকা করে দিচ্ছে। মানুষ বেশি কষ্টে আছে। 

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বরাদ্দ কমিয়েছে স্বয়ং জাতিসংঘ। একারণে অর্থ সংকটে পড়েছে রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানু রহমান বলেন, “বিশেষ করে নারী এবং শিশুরা অনেক বেশি পুষ্টিহীনতায় পড়বে। যেহেতু এটা সীমান্ত এলাকা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে যেতে পারে।”

মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ‘ডাব্লিউএফপি’ দুই দফা কমিয়েছে অর্থ বরাদ্দ। চলতি বছরের মার্চে রোহিঙ্গাদের জনপ্রতি মাসিক বরাদ্দ ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়। সর্বশেষ গত ১ জুন থেকে ওই বরাদ্দ আরও কমিয়ে ৮ ডলার করা হয়েছে। 

মো. মিজানু রহমান বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসনে আমরা সফলতা অর্জন করতে পারিনি। তবে এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

সংশ্লিষ্টরা বলছে, খাদ্য বরাদ্দ কমানোর ফলে পুষ্টি, স্বাস্থ্যসহ জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে করে শংকা তৈরি হয়েছে ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। 

২০১৮ সালে মিয়ানমারকে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা পাঠায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে এ পর্যন্ত যাছাই-বাছাই করেছে মিয়ানমার।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি