মৌসুম শুরুর আগেই ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গু (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৪, ৬ জুলাই ২০২৩
সব ধরনের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু। মৌসুম শুরু আগেই এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ জন। শুধুমাত্র মঙ্গলবার মারা গেছে ৫ জন। এ অবস্থায় বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার তাগিদ জনস্বাস্থ্যবিদদের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত সারাদেশে ৯ হাজার ৯৭১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি মাসের প্রথম ৪ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৮৯৩ জন। যাদের মধ্যে ১৪ জন মারা গেছেন। বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৭৮ জন, মারা যায় ৫ জন।
ডেঙ্গুর পুরো মৌসুম শুরু হবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে। অথচ এরআগেই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির চাপ। শয্যার অভাবে মেঝেতে রেখেই দিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত একমাসেই কয়েকগুণ ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, “গতকাল ছিল ১৪০, আজকে ১৫০। এভাবে বাড়তে থাকলে অন্য রোগীরা জায়গা পাবেনা।”
ওয়ার্ড ও কমিউনিটিভিত্তিক চিকিৎসেবা চালুসহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আন্ত:মন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স গঠনের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্যবিদ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, “দুটো মন্ত্রণালয় দিয়ে এটা সম্ভব হচ্ছেনা, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা দরকার। এটা জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার, এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী অন্তত ৫ বছরের জন্য পরিকল্পনা নেয়া দরকার।”
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনকে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, “ইতিমধ্যে অনেক লোক প্রাণ হারিয়েছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।”
তবে দক্ষিণের মেয়রের দাবি উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ততোটা ভয়াবহ নয়।
দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “উন্নত দেশেও ডেঙ্গু নির্মূল করার কোনো সমাধান আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।”
এদিকে ড্রোনের সাহায্যে ছাদ বাগানে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে সার্ভে কার্যক্রম শুরু করেছে উত্তর সিটি।
এএইচ