ডেঙ্গু: শিশুদের ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়ানোর পরামর্শ
প্রকাশিত : ১০:৪০, ১৩ আগস্ট ২০২৩
ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু, সচেতনতার অভাব
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের একটি বড় অংশই শিশু। শিশুরা তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক না হওয়ার কারণে দ্রুত বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান কামরুল জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসার আওতায় আনতে দেরি হয় বলেই তাদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতিও ঘটছে।
দেশে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে শিশুরা। এক থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গুতে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনিস্টিটিউট রাজধানীর বিশেষায়িত এই হাসপাতালে গত কয়েকদিনে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে।
আক্রান্তদের মধ্যে কারও কারও শরীর ফুলে যাওয়া, পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়াসহ নানা নতুন উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে।
অভিভাবকরা জানান, প্রথমে শরীরে লাল লাল গামাছির মতো উঠে। তারপর চিকিৎসকের দেয়া ওষুধে জ্বর কমলেও কিছুদিন পর আবার জ্বর উঠে, শরীর দুর্বল।”
এ অবস্থায়, শিশুদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় অভিভাবকদেরকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, “বাসার চারিপাশে ঝোপঝাড় যেখানে পানি জমে থাকে এই জায়গাগুলোতে যাতে পানি জমতে না পারে, সচেতন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, ছাদে যাতে পানি জমে না থাকে তা খেয়াল করতে হবে।”
ডেঙ্গু পরবর্তী সময়ে শিশুদের কোন ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়ানোর পরামর্শ এই চিকিৎসকের।
অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, “বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার দিতে হবে। যদি সে ব্যথার কথা বলে তাহলে তাকে প্যারাসিটামল খাওয়াবেন। তারপরও যদি তার কোনো মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা- এরকম কোনো সিমটম যদি পরিলক্ষিত হয় তাহলে চিকিৎসক বা হাসপাতালের স্মরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নিতে হবে।”
এএইচ