ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

যমুনার বুকে দৃশ্যমান দুই লেনের বঙ্গবন্ধু রেলসেতু (ভিডিও)

স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত : ১২:৩৪, ২২ আগস্ট ২০২৩

যমুনার নদীতে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে দুই লেনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। আগামী বছরের বিজয়ের মাসে ৪.৮ কিলোমিটারের স্বপ্নের সেতুটি খুলে দিতে দিন-রাত কাজ চলছে। উচ্ছ্বসিত যমুনার দুই পাড়ের বাসিন্দারাও।

২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাঁটলের কারণে কমে ট্রেনের গতি। বর্তমানে ঘন্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে দিনে ৩৮টি ট্রেন পারাপার হচ্ছে। 

সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশেই হচ্ছে ৪.৮ কিলোমিটারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুতে পিয়ার নির্মাণে রড সংযোজন, সুবিশাল পাইপ নদীরগর্ভে স্থাপনসহ পিলারের উপরে ষ্টিলের সুপার ট্রাকচার বসছে। 

সেতুর মোট ৫০টি পিলারের মধ্যে ৩১টির শেষ হয়েছে। ৪৯টি সুপার ট্রাকচারের মধ্যে ২২টি বসে যাওয়ায় সেতুর ২.১-৫ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। প্রচণ্ড স্রোতে কাজ এগিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানালেন প্রধান প্রকৌশলী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভিরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে নদীর যে মূল স্ট্রিম সেটা পায়ার নম্বর ৪ এবং ৯ এর ভেতরে সীমাবদ্ধ আছে। এখানে বর্তমানে পানির গতিবেগ বেশি থাকায় বার্জ নঙ্গর করা যাচ্ছেনা এবং কাজগুলো করা যাচ্ছেনা। এতে কিছুটা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে কাজের যে অগ্রগতি তা প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।”

বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্মিত দীর্ঘ স্থায়িত্বের সেতুটি রক্ষণা-বেক্ষণে খরচ কম পড়বে। শত বছর পর এর ক্ষয় মাত্র ১ শতাংশ। 

প্রধান প্রকৌশলী তানভিরুল ইসলাম বলেন, “ডুয়েলগেজ ডবল লাইন হবে। এতে রেলের ক্ষয়প্রাপ্তি খুবই কম। এখানে যে স্টিল-স্ট্রাকচারাল ব্যবহার করা হচ্ছে এগুলো ১শ’ বছরে মাত্র ১ শতাংশ ক্ষয় হবে।”

সেতুটি খুলে দিলে দিনে ৮৮টি ট্রেন নির্বিগ্নে চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি পশ্চিমপাড়ে গড়ে ওঠা ৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পণ্য পরিবহন সহজ হবে।  

বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ হামিদুল হক বলেন, “রেল সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি মাইলফলক উন্মোচন হবে।”

সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, “শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জে নয় উত্তর বাংলার অর্থনৈতিক লাইফ লাইন হিসাবে পরিগণিত হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পণ্য যোগাযোগ এবং আন্তর্জাতিকভাবে এটি বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা এ রেল সেতুর ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা জাপানের সহযোগীতা সংস্থা জাইকা ও বাকিটা অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি