সিগন্যালমুক্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন অক্টোবরে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের একমাত্র ট্রাফিক সিগন্যালমুক্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ। চলছে যানবাহন চলাচলের প্রস্তুত। আগামী মাসে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে বারো কিলোমিটার পথ চলতে সময় লাগবে মাত্র ৬ মিনিট।
এটি রাজধানীর পূর্বাচলের আশাজাগানিয়া মহাসড়ক এক্সপ্রেসওয়ে। প্রগতি সরণী ও বিমানবন্দর সড়কে সরাসরি ইস্টার্ন বাইপাসের সাথে যুক্ত করেছে এটি। পথ চলতে কোন বাধা নাই, সব ধরণের যানবাহন চলতে পারবে নিরবিচ্ছিন্ন।
সড়কটি কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু, ১২ কিলোমিটার। বালু ব্রিজ পর্যন্ত প্রথম সাড়ে ছয় কিলোমিটার ১৪ লেন। যেখানে, দূরপাল্লার-দূতগতির যানবাহন মাঝের ৮টি লেন এবং দুই পার্শ্বের ৬টি সার্ভিস লেন স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য। অন্যদিকে, বালু ব্রিজ থেকে কাঞ্চন ব্রিজ ৬ কিলোমিটার একইভাবে ১২ লেনের সড়ক।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, “এটাকে যাতে এই শহরের অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ বানানো যায় সে কারণেই রাস্তাটা এক্সপ্রেসওয়ে। উপরে যাবে, নীচে যাবে কোথাও থামবেনা।”
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের পর পর কানেক্টিং হতে পারবেন। নামার ক্ষেত্রেও কোনো অসুবিধা নেই। পূর্বাঞ্চলের অনেকগুলো ডিস্ট্রিকের কানেক্টিং হিসেবে কাজ করবে।”
সার্ভিস লেন থেকে মূল সড়কে উঠতে ৫টি অ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশান নুতনমাত্রা যুক্ত করেছে পূর্বাচল নতুন শহরকেন্দ্রিক এক্সপ্রেসওয়েকে। আন্ডারপাস দিয়ে গাড়ি যেমন অনবরত ছুটে যেতে পারবে, তেমনি চারটি ইউলুপও সহজ করবে চলাচলকে। রাস্তা পারাপারে ১২টি পথচারী সেতু ও বাস স্টপেসের সাথে আছে প্রয়োজনীয় যাত্রী ছাউনি।
প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, “কোনো সিগন্যাল ছাড়াই আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে এই বার কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।”
দৃষ্টি নন্দন সড়কের দুই পাশে পরিবেশ ও পর্যটন বান্ধবস্থাপনা যুক্ত করা হয়েছে। হাতিরঝিলের আদলে ১৩টি আর্চ ব্রিজ বা বাঁকানো সেতু আছে দুই পার্শ্বের একশ’ ফিটের কৃত্রিম খালে।
ক্যানালের চারদিক ৩৯ কিলোমিটারের সবুজ হাঁটার পথ, দেশের অন্যতম পর্যটন অবকাঠামোয় সজ্জিত করেছে এক্সপ্রেসওয়েকে। যা, একাধারে তিনটি খাল-ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ এর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে সহায়ক হবে।
এটি বাংলাদেশের একমাত্র ১৪ লেনের মহাসড়ক। সড়কটি চালু হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলের দূরপাল্লার যে যানবাহনগুলোর তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর শুরু হবে এই মহাসড়কে নিয়মিত যানবাহনের চলাচল।
এএইচ