সহিংস কর্মসূচিতে দিনে ৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
হরতাল-অবরোধের মতো সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রপ্তানিতেও। আর এতে খেলাপি ঋণ আরও বাড়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
গত ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের পরের দিন থেকেই দেশজুড়ে ধাপে ধাপে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ও জামায়াত। আর এসব কর্মসূচির নামে পোড়ানো হচ্ছে বাস-ট্রাক এমনকি ট্রেনও। উৎপাদন ও পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন ঘটায় দিনে ৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলছে এফবিসিসিআই।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে বেশি বিপাকে এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। দোকানপাটে স্বাভাবিক বেচাকেনা হচ্ছে না। প্রভাব পড়েছে কারখানার উৎপাদনেও। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারিদের বেতন এমনকি সময়মত ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হবেন ব্যবসায়ীরা। বাড়বে খেলাপি ঋণ।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, “শুক্র, শনি এবং মঙ্গলবার সপ্তাহে এই তিনদিন। এর মধ্যে একদিন সরকারি ছুটি। তাহলে কি করে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করবো। এমন সময় রাজনীতির নামে আন্দোলন চলছে যখন দেশে মুদ্রাস্ফীতি ১২ শতাংশের উপর। এরকম যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে তাহলে দেশের অর্থনীতির অবস্থা সামনের দিকে আরও খারাপ হবে।”
বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে এমনিতেই কিছুটা চাপে দেশের অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হলে মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান উভয়ই ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “যদি মানুষের উন্নতি করতে চান তাহলে সেটা জানাবেন, মানুষ তাদেরকে গ্রহণ করবে। তারা কাজ করবে। শুধু ক্ষমতার লোভে, চেয়ারে বসার লোভে যে জ্বালাও-পোড়াও এগুলো কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।”
তাই অর্থনীতির স্বার্থেই হরতাল-অবরোধের মতো নেতিবাচক কর্মসূচি পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতি আহ্বান অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের।
মোস্তাফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, “এমন একটি সংলাপ বলুন, এমন একটি পদ্ধতি বলুন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। যাতে দেশের অর্থনীতি মুখথুবড়ে না যায়।”
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “শর্তহীনভাবে আলোচনার কথা বলা হচ্ছে এবং সেই ভাবেই হয়তো একটা সমাধানে আসা যেতে পারে। আবার এটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটা একটা ব্যাপার।”
রপ্তানি-বাণিজ্য, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও কৃষি পণ্য বিপণন যাতে কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এএইচ