পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৬ বছর, পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩৬, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
শান্তিচুক্তির ২৬ বছর পরও পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব কষছেন পাহাড়িরা। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাহাড়ে শান্তি ফেরে। তবে কেউ কেউ বলছেন, উন্নয়ন ত্বরান্বিত হলেও চুক্তিটা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাত অবসানে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি সই হয় আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে। পরের বছর জনসংহতি সমিতির শান্তি বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।
পাহাড়িদের দাবি, মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হওয়া জরুরি। তবে সরকার বলছে, চুক্তি বাস্তবায়ন চলমান প্রক্রিয়া। এ অবস্থায় পাহাড়ে মাঝে-মধ্যেই ঘটে হানাহানি ও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত।
চুক্তির ফলে পাহাড়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। দুর্গম অঞ্চলে জ্বলছে বিদ্যুতের আলো। ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তিতেও সরকার চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার বলেন, “নেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রতি অনেক সংবেদনশীল। আশা করছি, স্থায়ী পার্বত্য চুক্তি করে এলাকায় যেন স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।”
রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, “শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ বলেন, “সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে, কিছুসংখ্যক এখন চলমান রয়েছে। সেগুলো সমাধানে দু’পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।”
বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, “সরকার আন্তরিক বলে যে জটিলতাটুকু তা নিষ্পত্তির আহবান সকলকে জানানো হয়েছে।”
চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শেষ হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশ্বজুড়ে মডেল হয়ে উঠবে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ