বিদ্যুৎখাতে দেড় দশকে ঈর্ষণীয় সাফল্য (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৪৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
গত প্রায় দেড় দশকে বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক বৈচিত্র্য এসেছে। গ্যাসের পাশাপাশি তেলভিত্তিক উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। একইসঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নির্মাণ করা হয়েছে কয়লাভিত্তিক বেশকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জোর দেয়া হয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে। গড়ে উঠছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও।
বিদ্যুৎখাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে গত দেড় দশকে। চরম অবহেলিত দেশের বিদ্যুৎখাত এ সময়ে দারুণ সমৃদ্ধ হয়েছে। সরকারের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী একের পর এক গড়ে উঠেছে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সরকারি, বেসরকারি ও যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎখাত হয়ে উঠেছে খুবই বৈচিত্রপূর্ণ। গত ১৪ বছরে শুধু বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন ৯১টি। আর দুটিতে রয়েছে সরকারের সাথে যৌথ মালিকানা। এখন মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৪০ শতাংশের অবদান বেসরকারি খাতের।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফয়সাল খান বলেন, “১৫ বছর আগে দেশের ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো গ্যাস দিয়ে। এখন সেটা ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এখানে কয়লা, লিক্যুইট ফুয়েল ঢুকেছে। এই ডাইভারসিটি একটি দেশের জন্য খুবই জরুরি। আমরা খুবই খুশি, বাংলাদেশের গত ১৫ বছরে পাওয়ার সেক্টরের সাফল্য নিয়ে।”
ইন্ডিপেডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশান ছিল সেটা প্রাইভেট সেক্টরকে পাওয়ার জেনারেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা। এটা না হলে বিদ্যুৎখাতে এই গতি আসতোনা।”
২০০৯ সালে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ছিল ২৭টি। যা উন্নীত হয়েছে ১৫২টিতে। গ্যাসের পাশাপাশি ফার্নেস অয়েল, ডিজেল, কয়লাভিত্তিক ১২৫টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠায় দেড় দশকে বিদ্যুতের উৎপাদন-ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ থেকে বেড়ে উন্নীত হয়েছে প্রায় ২৯ হাজার মেগাওয়াটে।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “আমাদের বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছিল ৪৭ শতাংশ, আজকে সেটা শতভাগ করতে পেরেছি।”
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, গ্যাসভিত্তিক ৬৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার মেগাওয়াট। যা মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৪৫ শতাংশ। এছাড়া ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে ২৫, কয়লা ১৩, ডিজেল ৩, জলবিদ্যুৎ ২ এবং আমদানি হচ্ছে ১১ শতাংশ বিদ্যুৎ। বাকিটা আসছে ক্যাপটিভ ও সৌরশক্তি থেকে।
এদিকে, রূপপুরের পারমাণবিক কেন্দ্রও প্রায় প্রস্তুত। এখান থেকে মিলবে ২ হাজার ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার কাজ চলছে।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক বলেন, “আমরা বিতরণ ও সঞ্চালনের দিকে নজর দিয়েছি।”
২০৩০ সালে ৪০ হাজার ও ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে চায় সরকার।
এএইচ