নামে মহানগর, অমিল শুধু নাগরিক সেবায় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
সড়কবাতির ট্যাক্স দিয়েও পথ হাঁটেন অন্ধকারে। মাটির রাস্তা পাকা হওয়ার কথা থাকলেও খুঁড়ে রাখা আছে ১৪ বছর। সুয়ারেজ ড্রেন কী জিনিস চোখেও দেখেননি মহল্লাবাসী। ছিটানো হয় না মশার ওষুধ। বলছিলাম- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী এলাকার বাসিন্দাদের কথা।
গাজীপুর মহানগরের ব্যস্ততম এলাকা টঙ্গী। সেখানকার মরকুন খেয়াঘাটের অতি কাছে ঢাকা উত্তর সিটির সীমানা।
এলাকাবাসীরা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পাশেই কিন্তু উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। ঢাকা সিটি বেহেস্তখানা আর আমাদের গাজীপুর সিটি দোজখখানা। কোনো ধরনের সেবা নাই কিন্তু হোল্ডিং ট্যাক্স ও জমির ট্যাক্স দিতে হচ্ছে।
বাসা বাড়ি কিংবা দোকাটপাটের ট্যাক্স অন্য সব মহানগরের মতোই। অমিল শুধু নাগরিক সেবায়। অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের কর পরিশোধ করে বহু বঞ্চনার মাঝে তাদের বসবাস।
স্থানীয়রা জানান, নামে সিটি কর্পোরেশন, মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক খারাপ। শুধুমাত্র রাস্তা না থাকার কারণে।
মরকুন থেকে মারুকা কিংবা পদেরবাইদ থেকে নাকদা- সবখানে একই চিত্র। এলাকাটি সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ড হলেও প্রধান সড়ক এখনও মাটির। ড্রেনেজ সুবিধাসহ এ রাস্তা পাকা করার কথা শুনছেন ১৩ বছর ধরে। কিন্তু তাতে ইট সুরকি না লাগায় চলে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন।
বাসিন্দারা জানান, বাবার বয়স থেকে শুনছি রাস্তা হবে, তবে কবে যে হবে আমাদেরই বয়স শেষের দিকে। রাস্তার জন্য এই গ্রামে ভালো বিয়ে-সাদি হয়না।
সারি সারি খাম্বায় ঝুলছে বিদ্যুতের তার। তাতে সংযোগ না থাকায় জ্বলে না সড়কবাতি। এলাকায় নেই কোনো পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। নন্দীবাড়ি, কোদালিয়া, বোরান, বিন্দানসহ আর সব এলাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রব।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন বলছে, সমস্যা সমাধান শিগগিরই।
প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়েছে খুব দ্রুতই কাজটি সমাপ্ত হবে এবং রাস্তাটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত হবে।”
এ এলাকার মানুষ নামেই শুধু মহানগরের বাসিন্দা। নেই শশ্মান-কবরস্থান, পার্ক কিংবা খেলার মাঠ। না আছে বাজার-ঘাট কিংবা আধুনিক সুবিধার ন্যুনতম বালাই।
এএইচ