আধুনিক পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করবে সরকার (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কয়লা উত্তোলনের চিন্তা করছে সরকার। ভুগর্ভস্থ পদ্ধতিতেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ অন্যান্য খনি থেকে কয়লা তুলতে শিগগিরই পরামর্শক নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান। বলেছেন, ভুগর্ভস্থ আধুনিক পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন সম্ভব। আর তা সম্ভব হলে কয়লা আমদানি খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় সাশ্রয় হবে; চাপ কমবে রিজার্ভের ওপরও।
১৯৬২ সালে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে ১.০৫ মিলিয়ন টন মজুদের কয়লাখনি আবিষ্কার হয়। পরে ১৯৮৫-তে বড়পুকুরিয়া, ৮৯-এ খালাসপীর ও ১৯৯৯ সালে দিঘিপাড়ায় সন্ধান মেলে কয়লাখনির।
এছাড়া ১৯৯৭ সালে আবিষ্কার হয় ফুলবাড়ী কয়লা ক্ষেত্র। দেশে আবিষ্কৃত ৫টি খনিতে অন্তত ৭ হাজার ৮শ মিলিয়ন টন কয়লা আছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে কেবল বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা তেলা হচ্ছে।
এদিকে গত কয়েক বছরে দেশে গড়ে উঠেছে বেশকটি বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকন্দ্র। এসব কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা হচ্ছে কয়লা। ব্যয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
এমন পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা ও ভূতত্ত্ববিদরা দেশের স্বার্থে স্থানীয় উৎস থেকে কয়লা উত্তোলনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
বিকিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, “পেট্রোবাংলাকে নিয়ে এই মুহূর্তে আমাদের ডিপ্লোমেট চিন্তা করা উচিত। দীর্ঘ মেয়াদে এখান থেকে আহরণ ও সংরক্ষণ করা উচিত।”
ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, “কেবলমাত্র একটা থেকে আমাদের কয়লা আসছে। সুতরাং আমরা যদি নতুন খনির সন্ধান না করেও যদি বর্তমান খনিগুলোকে উন্নত করি তাহলে প্রচুর জ্বালানির যোগান দেয়া যাবে কয়লা থেকে, দেশীয় উৎস থেকে। সেটাই এই মুহূর্তে আমাদের করা দরকার।”
স্থানীয় খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকারও। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, বড়পুকুরিয়া থেকে যে পদ্ধতিতে তোলা করা হচ্ছে তাতে ১০ থেকে ১২ শতাংশ কয়লা উঠানো যাবে। তবে ভূগর্ভস্থ আধুনিক পদ্ধতিতে এখন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন সম্ভব।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, “যে চারটি খনি আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি, সেখানে উপরের জমির কোনো সমস্যা তৈরি না করে মাটির নীচ থেকে কয়লা আনা যায় কিনা সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।”
ভুগর্ভস্থ পদ্ধতিতেই অন্যান্য খনি থেকে কয়লা তুলতে পরামর্শক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।
জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, “প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকার অনুমোদন করলে দ্রুত কনসালটেন্ড নিয়োগ করবো, যাতে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা যায়।”
কয়লা উত্তোলন কাজে ফসলি জমি ও পরিবেশ রক্ষায় কী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে তাও জানালেন তিনি।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বলেন, “বালি দিয়ে যদি ভরাট করতে পারি তাহলে এটা কখনও নীচু হওয়ার আশঙ্কা থাকবেনা। আর উপরের অধিবাসীরা এটি বুঝতেও পারবেনা।”
এএইচ