বঙ্গোপসাগরের বুকে আরেক বাংলাদেশের হাতছানি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বঙ্গোপসাগরের বুকে আরেক বাংলাদেশের হাতছানি। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চারপাশে মেঘনা নদী ঘিরে জেগে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় ৩০টি চর। ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনায় তৈরি হতে পারে নতুন এক বাংলা ভূ-খণ্ডের। তবে, এসব চরে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আর পরিকল্পনার অভাবে টেকসই হচ্ছে না বসতি। বিভিন্ন বাহিনী আর ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে বিরাজ করছে অস্থিরতাও।
‘নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন’ দেখাচ্ছে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চর। নোয়াখালী থেকে ২১ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিয়ে দক্ষিণের হাতিয়া থেকে সাগরের দিকে যেতে যেতে চোখে পড়বে চর ঘাসিয়া, ঢালচর, চর আতাউরসহ জেগে ওঠা অনেক নতুন ভূখণ্ড। আছে নামহীন আরও অনেক ডুবো চর।
চরের কয়েকটিতে গড়ে উঠেছে মানুষের বসতি। তবে দমারচর, চর জোনাক, চর গাঙ্গুরিয়া, চর মোহাম্মদ আলিসহ অনেকগুলোতে বসতি নেই। এসব চরে ধান চাষের পাশাপাশি আছে গরু, মহিষ ও ভেড়ার বাথান।
নতুন ভূমিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আর পরিকল্পনার অভাবে ভূমিদস্যু আর বিভিন্ন বাহিনীর দৌরাত্ম্যে বিরাজ করছে অস্থিরতা। একইসঙ্গে সড়ক-বেড়িবাঁধ বা দূর্যোগকালীন কোনো সুরক্ষা না থাকায় চরে চাষাবাদসহ পশুপালনে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় বাসিন্দাদের।
তারা জানান, চর উঠছে কিন্তু এতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই, পরিকল্পনা নাই। চরগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে।
দেশের মানচিত্রে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সমতল ভূমি। একটি চর অন্যটির সাথে মিলে তৈরি হবে নতুন এক বাংলাদেশ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউছুফ বলেন, “ধীরে ধীরে একটা সময় দেখা যাবে এই চরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটার সংযোগ হয়ে ভবিষ্যতে নতুন ভূখণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হচ্ছে।”
জেগে উঠা চরগুলোর সার্বিক উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান, জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “ওই সমস্ত চরে সবুজায়নের মাধ্যমে ফসলের যে চাহিদা তা পূরণ করা সম্ভব হবে। সরকার এ বিষয়গুলো ভাবছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের চরগুলোতে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৪ হাজার একর চর ভূমি মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় বনায়ন হয়েছে।
এএইচ