শহীদ মিনার ঘিরে বাঙালির ইতিহাস ছড়াচ্ছে বিশ্বময় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:০৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভাষা শহীদদের স্মরণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহুদিন ধরেই পালিত হচ্ছে অমর একুশে। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেয়ার পর বৃদ্ধি পেয়েছে এর পরিসর। ভিনদেশে নির্মিত শহীদ মিনার ঘিরে বিপ্লবী বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলন আর ইতিহাস ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বময়।
পাকিস্তানী দু:শাসন আর শোষণের শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম স্মারক শহীদ মিনার।
বাঙালির অহংকার ও প্রেরণার এ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে দেশে দেশে গড়ে উঠেছে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ।
বাংলাদেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার স্থাপিত হয় লন্ডনে। অতপর যুক্তরাজ্যের আলতাব আলী পার্কে নির্মিত শহীদ মিনারকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির নিজস্ব বলয়।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হয় মহাকাশ গবেষণার শহর টেক্সাসের হিউস্টোনে। আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন স্টেট থেকে আসা বাঙালিরা। বিদেশে দেশের সংস্কৃতি ঋদ্ধ করতে গড়ে উঠেছে পাঠাগার আর বাংলা স্কুল।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বিদেশে দেশের সংস্কৃতি নানাভাবে তুলে ধরছেন প্রবাসীরা। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স, কলকাতা, কানাডা ছাড়াও অন্যান্য দেশে বসবাসরত বাঙালিরা পালন করছেন ভাষা শহীদ দিবস।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বহুদিন আগেই স্থাপিত হয়েছিল শহীদ মিনার। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সম্মিলিতভাবে শ্রদ্ধা জানান। এই উদ্যোগের পর বাংলা ভাষা চর্চা ও অনুবাদসাহিত্য বিকাশের দাবিও ওঠে বিভিন্ন মহলে।
এভাবেই একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে প্রবাসীরা স্মরণ করছেন বাংলা ভাষার দাবিতে আত্মাহুতি দেয়া শহীদদের।
এএইচ