জিআই পণ্য গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, ইতিবাচক প্রভাব মিষ্টান্নখাতে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১২:২৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জিআই পণ্য হিসেবে গোপালগঞ্জের রসগোল্লার স্বীকৃতি দেশের সার্বিক মিষ্টান্নখাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি এটির অর্থনৈতিক গুরুত্বও বাড়বে বলছেন অর্থনীতিবিদরা। আর দেশ-বিদেশে এই রসগোল্লার খ্যাতি ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী।
প্রায় ৮৬ বছর আগে ১৯৩৮ সালে গোপালগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় এলাকায় ছোট্ট একটি ঘরে বসন্ত দত্ত তাঁর ১৪ বছরের ছেলে সুধীর দত্তকে নিয়ে চালু করেন রসগোল্পার দোকান। নাম দেন দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার।
২০১৯ সালে সুধীর দত্তের মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন তাঁর সন্তান সবুজ দত্ত। সময়ের সাথে দত্তের রসগোল্লার খ্যাতি দেশ ও দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় গড়ে ওঠে আরও মিষ্টির দোকান।
গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করে কারখানায় নিয়ে আসেন উদ্যোক্তারা। সঠিক প্রক্রিয়ায় এতে প্রয়োজনীয় সব উপাদান মিশিয়ে বানানো হয় রসগোল্লাসহ নানা পদের মিষ্টি।
ভিড় লেগেই থাকে মিষ্টির দোকানে। ভালো মিষ্টি পেয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারা।
ক্রেতারা জানান, ওনারা খাঁটি দুধ দিয়ে মিষ্টিগুলো তৈরি করে থাকেন, যা আমরা বংশ পরম্পরা থেকে শুনে আসছি।
সম্প্রতি গোপালগঞ্জ জেলার প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই বা ‘ভৌগলিক নির্দেশক’ স্বীকৃতি পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই রসগোল্লা। ফলে পণ্যটির সুখ্যাতি আরও বাড়বে বলছেন দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী।
সবুজ দত্ত বলেন, “জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত। ভবিষ্যতে যাতে এই পণ্য বেশি বেশি তৈরি করতে পারি বা দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে পারি সেই চেষ্টা করবো।”
জিআই স্বীকৃতি রসগোল্লার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়াবে। মান ধরে রাখার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফকির আজমল হুদা বলেন, “গোপালগঞ্জের রসগোল্লাটার যে পিএইচ মার্কটা আছে তা অত্যন্ত ভালোমানের। যখনই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো তখন এর প্রসারের একটা ক্ষেত্রে সৃষ্টি হবে।”
ইন্টারন্যাশনাল প্রোপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয় জিআই সনদ দেয়। জিআই হচ্ছে- একটি প্রতীক বা চিহ্ন, যা পণ্য ও সেবার উৎস, গুণাগুণ ও সুনাম ধারণ এবং প্রচার করে।
এএইচ