ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিক্রি বেড়েছে অগ্নিনিরাপত্তা সামগ্রীর (ভিডিও)

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ১৯:৫০, ৮ মার্চ ২০২৪

অগ্নি নিরাপত্তা সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেইলি রোডের আগুনের পর চাহিদা বাড়লেও পরিকল্পনা না থাকায় অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। পোশাক কারখানার মতো সমন্বিত উদ্যোগেই সবক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ তাদের। 

বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রসাশন। একের পর এক অভিযানে বেরিয়ে আসছে ত্রুটি। এরইমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নামী দামী বহু রেঁস্তোরা। 

এ অবস্থায় বেড়েছে অগ্নি নিরাপত্তা সামগ্রীর কোনাবেচা। নবাবপুর রোডের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই নিরাপত্তা সামগ্রীর বিক্রি বাড়ে। সপ্তাহখানেক বাজারও থাকে চাঙ্গা। এবারও তাই হয়েছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, আগে যে দামে বিক্রি করেছি এখনও সেই দামেই বিক্রি করছি। সেফটির নানা সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। এটা কয়েকদিন থাকবে তারপর বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিক্রি সবসময় থাকেনা।

এ খাতের ব্যবসায়ী নেতারা মনে করেন, অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে হুটহাট করে নেয়া কোনো পদক্ষেপ টেকসই হবে না। সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সমাধান দেখছেন না তারা। 

ইলেক্ট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সেক্রেটারি জেনারেল জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সিটি কর্পোরেশন, রাজউক, বিশেষ করে ফায়ার সার্ভিস- তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়ার পর তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় রয়েছে কোথায় কোথায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে।”

নতুন করে যেসব ভবন নির্মাণ হবে সেখানে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি পুরোনো ভবনগুলোকে সংস্কারের সুযোগ দেয়ার তাগিদ দেন তারা। 

জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নতুন ভবন করার আগে এবং যারা বিদ্যমান তাদের কি করা উচিত সেটার স্পষ্ট গাইডলাইন ফায়ার সার্ভিসে রয়েছে এবং নকশাও অনুমোদন নিচ্ছে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, নকশার অনুমোদন নিয়েই পার পেয়ে যায়।”

সমন্বিত উদ্যোগে দেশের তৈরি পোশাক খাত এখন নিরাপদ। তাই পোশাক খাতকেই উদাহরণ হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ- এই ব্যবসায়ী নেতার।   

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি