যানজট ছাড়াই নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
প্রকাশিত : ১০:৪৬, ৭ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ১০:৪৮, ৭ এপ্রিল ২০২৪
স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্বপরিবারে গন্তব্যে ছুটছে কর্মজীবী মানুষ। অধিকাংশই বাহন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ট্রেন-বাস আর লঞ্চকে। আর ঈদযাত্রা শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের ঈদযাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকী আর মাত্র কয়েকদিন। তাই আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে গন্তব্যে ছুটছে মানুষ।
সাভার-গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা, অন্যদিকে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা দীর্ঘ যানজট ছাড়াই ছুটছেন গন্তব্যে।
ঘরমুখী এক যাত্রী জানান, বাবা-মা’র সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়িতে যাচ্ছি।
তবে এসব রুটে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
তারা জানান, ১৮০ টাকার জায়গায় ২৫০ টাকা নেয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলছেন, টোলপ্লাজাগুলো ছাড়া মহাসড়কে যানজটের আশংকা নেই।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “ঈদযাত্রা যাতে নির্বিঘ্ন হয়, নিরাপদ হয় সেই চেষ্টা আমরা করে থাকি। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা সমন্বিত প্রচেষ্টায় গতবছরের তুলনায় আরও নিরাপদ হবে এবং স্বস্তিদায়ক হবে। খোলা ট্রাকে, বাসের ছাদে, পিকআপভ্যানে, পণ্যবাহী যানে- এরকম ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা কোনোভাবেই করা যাবেনা।
সবমিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে জানালেন ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ প্রধান।
ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সরকারি ছুটিগুলোর মধ্যে ২৭ রমজানের রাতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ গন্তব্যে ছুটে যাবে। সেইভাবেই আমরা ব্যবস্থা রেখেছি। যানজটে এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ঘরমুখি মানুষরা যেন সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
এজন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক আর যাত্রীদের সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ কর্তারা।
এএইচ