ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণের শঙ্কা
প্রকাশিত : ১৫:৩৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ১৫:৪৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আগাম বৃষ্টি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, মশক নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতা ও স্বাস্থ্যখাতের দূরবস্থাকে দায়ী করছেন তারা।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে ১৯৬০ সালে। আর ২০০০ সালের জুন মাসে সর্বপ্রথম মহামারী আকার ধারণ করে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয় ২০২৩ সালে।
ছয় দশক পেরিয়ে গেলেও এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বরাবরই ব্যর্থ দায়িত্বশীলরা। মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘায়িত হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই।
সময়ের আগে বৃষ্টিপাত, এবছরে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে কয়েকগুন। আগাম ব্যবস্থা নিলেও শংকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “জলবায়ুর প্রভাবের কারণে ডেঙ্গু উপদ্রব সারাবছরই পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং শঙ্কা তো আছেই। আগে অন্য মওসুমে ছিল না শুধু বর্ষাকালে ছিল। সেভাবে আমরা কার্যক্রমটা নিতে পারতম। এখন যেহেতু এটা বছরব্যাপী বিস্তৃত, ছড়াতে ছাড়তে এটা একসঙ্গে তুঙ্গে যাবে। এজন্য শঙ্কা অবশ্যই বেশি। এক্ষেত্রে কার্যপরিধি, কর্ম পরিকল্পনাও আমরা বৃদ্ধি করেছি।”
আর ডেঙ্গু মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি করাসহ চিরুনি অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
এদিকে, পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের যেসব দেশ ডেঙ্গু মোকাবেলায় সফল হয়েছে, তাদের অনুকরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, “পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে। সেজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে। বাংলাদেশের এরকম কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা দরকার। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা সেটি করতে পারে।”
যে পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তাতে আদৌ সফলতা মিলবে কিনা, এমন প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ