বৃক্ষ নিধনের ফলে আবহাওয়া হয়ে উঠছে চরমভাবাপন্ন
প্রকাশিত : ১১:৪০, ৮ মে ২০২৪ | আপডেট: ১১:৪১, ৮ মে ২০২৪
যশোরে সড়ক প্রশস্তকরণের নামে অবাধে কাটা পড়ছে গাছ। গত দুই বছরে সড়ক-মহাসড়কের পাশ থেকে দুই হাজারেরও বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যে পরিমাণ গাছ কাটা পড়েছে তার তুলনায় এক শতাংশও নতুন গাছ লাগানো হয়নি। দিনে দিনে বৃক্ষ নিধনের ফলে জেলার আবহাওয়া হয়ে উঠছে চরমভাবাপন্ন।
সামাজিক বনাঞ্চলের জন্য যশোরের খ্যাতি থাকলেও দিনে দিনে কমছে বনাঞ্চলের সংখ্যা। পরিবেশবাদীরা যশোর-বেনাপোল সড়কের দুই পাশের বৃক্ষ নিধন প্রতিরোধ করতে পারলেও রক্ষা হয়নি জেলার অন্য মহাসড়কের পাশের গাছগুলো।
সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য ২০২২ সাল থেকে যশোর-নড়াইল, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-চুকনগর ও কেশবপুর-সাগরদাঁড়ি সড়কের পাশ থেকে দুই হাজারেরও বেশি গাছ কাটা হয়েছে।
এর মধ্যে এ বছর যশোর নড়াইল সড়কে কাটা হচ্ছে ৮৯২টি গাছ, ২০২২ সালে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে কাটা হয়েছে ৮৩৫টি, যশোর-চুকনগর সড়কে কাটা হয়েছে ৪৬২টি গাছ।
প্রায় ৮শ’ হেক্টর জমির গাছ উজাড় হলেও নতুন করে তেমন কোনো বৃক্ষরোপণ করা হয়নি।
পরিবেশবীদ ছোলজার রহমান বলেন, “গাছ বাঁচানোর দরকার আছে, রোদের সময় এর ছায়ায় মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।”
যশোরের আবহাওয়ার এখনকার পরিবর্তনের জন্য বৃক্ষ নিধনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, যেহেতু এটা জাতীয় মহাসড়ক, এটা ৬ লেন বা ৪ লেন করবে সরকার। রাস্তার উন্নয়নের স্বার্থে এই গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে। এই গাছগুলো কাটা হলে কেউ টিকতে পারবে না। কারণ মরুভূমির মতো হয়ে যাবে এলাকা।
তবে এ বছর বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা।
যশোর জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, “গ্রামাঞ্চলের যে রাস্তাঘাট যার মালিকানা জেলা পরিষদের সেগুলোতে আমরা পরিকল্পিত উপায়ে বৃক্ষরোপণ করবো। এখানে বড়ধরনের বরাদ্দ রাখা হবে।”
যশোরের চরমাভাবাপন্ন আবহাওয়ার জন্য বৃক্ষ রোপণের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।
এএইচ