ঢাকা, সোমবার   ২৪ জুন ২০২৪

ডিএনএ পরীক্ষায় রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে জটিল মামলার

দিপু সিকদার

প্রকাশিত : ১১:৫৫, ১৩ মে ২০২৪

ডিএনএ পরীক্ষায় রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে ৯০ ভাগ জটিল মামলার, গ্রেফতার হচ্ছে আসামিরা। এ কারণে সারাদেশ থেকে আলামত পরীক্ষার চাপও বাড়ছে সিআইডির একমাত্র ডিএনএ ল্যাবের ওপর। একুশে টেলিভশনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। 

এ সময় তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করা হলে মামলা তদন্তের গতি আরও বাড়বে।

এই নারীর ছদ্মনাম লিলি। এসেছেন ঢাকার বাইরের একটি জেলা থেকে। নিজ শিশু সন্তান নিয়ে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় পিতৃত্বের দাবিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাজির হয়েছেন সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে।

লিলি (ছদ্মনাম) বলেন, “প্রেমের সম্পর্ক থেকে গর্ভধারণ, বিষয়টি সে মেনে নিতে চায়না। পরে মামলা করলে সে কোর্টে স্বীকার করে যে, এ বাচ্চা তার। এরপর ঢাকা মেডিকেলে ডিএনএ টেস্ট করায়, সেখানে কারসাজি করে রিপোর্ট নিয়ে জামিনে আসে। বাধ্য হয়ে আমরা এখানে এসেছি ডিএনএ টেস্টের জন্য।”

প্রতিদিনই সারাদেশ থেকে খুন, ধর্ষণ, বাবা-মায়ের পরিচয় নিশ্চিতসহ স্পর্শকাতর অনেক ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে এই ডিএনএ ল্যাবের মাধ্যমে।

কিন্তু বিপত্তি বাধে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে। একটি মাত্র ডিএনএ ল্যাব হওয়ায় দূর দূরান্তের জেলা থেকে রাজধানীর বুকে সিআইডি সদর দফতরে ছুটে আসতে হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরও। 

পুলিশ সদস্য জানান, আসামি নিয়ে এসেছি ডিএনএ প্রোফাইল করার জন্য। মামলা তদন্তে এই ডিএনএ প্রোফাইলের রিপোর্ট পেতে সময় লাগে। এটা যতো দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে মামলা নিষ্পত্তিও ততো দ্রুত করা সম্ভব হবে। ডিএনএ ল্যাব যদি বিভাগীয় পর্যায়ে হতো তাহলে দূর থেকে যারা আসছে তাদের সময়টা বেঁচে যেতো।”

ল্যাবের কার্যক্রম দেখতে অনুমতি মেলে একুশের টিমের।

নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য আসে এই কক্ষে। পরবর্তী পরীক্ষার জন্য চলে যায় ডিএনএ ল্যাবের আরেকটি কক্ষে। 

এভাবে সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি ধাপ পার করে তবেই আসে চূড়ান্ত ফলাফল।

সিআইডি প্রধান বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় ৯০ ভাগ মামলার রহস্য উন্মোচন হচ্ছে।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “র‌্যাপিট অ্যানালাইজার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কাছে যে অ্যানাইজারগুলো আছে তার মাধ্যমে রিপোর্ট পেতে কমপক্ষে ৫-৭ দিন লেগে যায়। সুতরাং র‌্যাপিট অ্যানালাইজার যদি পাওয়া যায় তাহলে আশা করা যাচ্ছে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে জমে থাকা রিপোর্টগুলো সম্পন্ন করা যাবে।”

তবে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ডিএনএ ল্যাব তৈরির উদ্যোগ স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে পুলিশ বিভাগে।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন যে বিভাগীয় শহরে ডিএনএ ল্যাব এবং আইটি  ফরেন্সিং ল্যাব করবেন। আমরা আশাবাদী, এই ল্যাবগুলো বিভাগীয় পর্যায়ে যদি স্থাপিত হয় মামলা তদন্তের গতি বাড়বে।”

বর্তমান ডিএনএ ল্যাবটিতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যার যুক্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে কাজের গতি আরও বাড়বে বলে মনে করেন সিআইডি প্রধান।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি