কে হচ্ছেন ডিএনসিসির পরবর্তী মেয়র?
প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:০৭, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচন। গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানায়। তবে আরও আগে থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছে রাজধানীর উত্তরের নগরপিতার আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। ‘কে হচ্ছেন পরবর্তী মেয়র?’ এ প্রশ্নের থেকেও এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ‘কে লড়তে যাচ্ছেন পরবর্তী উপ-নির্বাচনে?’
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে আসা আনিসুল হক। নিজের বলিষ্ঠ এবং একাগ্র নেতৃত্বের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত জনপ্রিয় এই মেয়র চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন গত ৩০নভেম্বর। এরপর থেকেই মূলত আলোচনা হতে থাকে পরবর্তী মেয়রকে নিয়ে।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, আনিসুল হকের স্থলাভিষিক্ত যিনি হবেন তাকেও হতে হবে প্রয়াত মেয়রের মতই। তা না হলে পরবর্তী মেয়র নগরবাসীর কাছে ততটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন না। কারণ নতুন মেয়রকে নিয়ে সাধারণ মানুষের থাকবে অনেক আশা ও আকাঙ্ক্ষা। মেয়র আনিসুল হকের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চাপও থাকবে আসন্ন মেয়রের ওপর।
মেয়র আনিসুল হককে খুব কাছে থেকে দেখেছেন তার সহকারি একান্ত সচিব-২ (এপিএস-২) সাদিদ হাসান। মেয়র আনিসুল হক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্যার সিটি কর্পোরেশনকে নিজের মনে করেছিলেন। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন। আমাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছেন। প্রতিদিন রাত দেড়টায় মুঠোফোনে তার ক্ষুদেবার্তা দেখে ঘুমাতে যেতাম। আবার সকাল সাড়ে সাতটায় উঠে দেখতাম তার নতুন ক্ষুদেবার্তা। সিটি কর্পোরেশনের খুব ছোট থেকে বড় কাজেও ছিল তার নজরদারি এবং তদারকি। সবসময় চিন্তা করতেন কী করলে জনগণের ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত কাজের বাইরেও আনিসুল হক সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব বা এখতিয়ারের মধ্যে পরে না- এমন কাজও করতেন। সামনে তার অনেক পরিকল্পনা ছিল, যা তিনি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি। তার এসব কাজে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আগে থেকেই পরামর্শ করে নিতেন। প্রতিটি কাজকে তিনি খুব সহজ-সরল আর স্বাভাবিকভাবে দেখতেন।’
পরবর্তী মেয়র কেমন হওয়া উচিত- এমন প্রশ্নের জবাবে সাদিদ হাসান বলেন, ‘মেয়র পদে যিনিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক অথবা শেষ পর্যন্ত যিনিই মেয়র হোন না কেন, তাকেও আনিসুল হক স্যারের মতো সিটি কর্পোরেশনকে নিজের করে নিতে হবে। কারণ যদি এটা না হয় তাহলে স্যারের অনেক পরিকল্পনা অপূর্ণই থেকে যাবে।’
তাহলে কী আনিসুল হকের পরিবার থেকেই কারও মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমনটা হলে ভালোই হয়। তারাই হয়তো সব থেকে বেশি চাইবেন আনিসুল হক স্যারের রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে। অনেকেই এ নিয়ে কথা বলছেন। প্রয়াত মেয়র সহধর্মিণী রুবানা হক অথবা বড় ছেলে নাভিদুল হক নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে তা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মনোনয়ন দেন তবেই। তিনি যদি অনুমতি দেন এবং যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই নির্বাচন করবেন। এক্ষেত্রে তারা দু’জনই প্রস্তুত আছেন।’
তবে কে বা কারা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আর শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন ঢাকা মহানগরীর উত্তর অংশের নতুন ‘অভিভাবক’ তা জানতে আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগ পর্যন্ত।
/ডিডি/