একুশের চোখ
সড়কে বিশৃংখলা-মুত্যু-চাঁদাবাজি
প্রকাশিত : ১৫:০৮, ৩০ মার্চ ২০১৯
কোনোভাবেই থামছে না সড়কে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই যানবাহনের চাকায় পিষ্ঠ হচ্ছে মানুষ। কিছুতেই যেনো সড়কে ফিরছে না শৃঙ্খলা। যানবাহনগুলোর গতির প্রতিযোগিতা, লাইসেন্সবিহীন যানবাহন ও চালক, ট্রাফিক পুলিশের দায়সারা দায়িত্বই মূলত দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। বিশেজ্ঞরা বলছেন- লাগামহীন চাদাবাজি আর পরিবহন খাতের বিভিন্ন দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে সড়কে শৃংখলা আসবেনা।
খোদ রাজধানীতেই এভাবেই প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে যানবাহনগুলো। আর মহাসড়কেতো কথাই নেই। মূলত বেপরোয়া গতির কারণেই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনিরাপদ সড়কে প্রতিদিনই ঝরছে প্রাণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, এই সংখ্যা ১০গুণ বেশি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন মারা যায়। ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ হাজার ২২১ জন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৬৬ জন।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বুয়েটের এক গবেষণায় দেখা যায় প্রায় নব্বই শতাংশ দুর্ঘটনা ঘরে গতি ও চালকদের কারণে। আর যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে বিপজ্জনক ওভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের নির্মাণ ক্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন, রেলক্রসিং এবং মহাসড়কের ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, ফুটপাথ না থাকা বা বেদখল হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
এসব রোধে মাড়ে মোড়ে আছে চেক পোস্ট, কিন্তু তারা ব্যস্ত অন্যকাজে। গাড়ী আটক করে টাকা তোলাই যেন পুলিশের প্রধান কাজ। রাজধানীর কোন পুলিশ চেক পোস্টে টাকা তোলা হয়না এমনটা খুজে পাওয়া দুষ্কর।কিছক্ষণ দাড়ালে এমন দৃশ্য দেখা যায় হরহামেশাই।
দীর্ঘদিন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ বিশেজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা ছাড়া দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ, পরিবহন মালিক সব পক্ষকেই আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিলেন বিশেষজ্ঞরা
দেখুন ভিডিও :
এসএ/