জননেত্রী শেখ হাসিনা : বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে এক মহিয়সী নেত্রী
প্রকাশিত : ১৫:৫০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৬:৩৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
জননেত্রী শেখ হাসিনা, যিনি জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন অতিমারীর সময়ে ও পূর্বে। ঔদার্য, শাসন জ্ঞান, বিচক্ষণতা, মানবীয় গুণাবলীর আধার তিনি। রাষ্ট্র পরিচালনায় ন্যায়পরায়ণতা, বিচক্ষণ কূটনৈতিক গুণাবলী এবং মানব মর্যাদা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা তিনি রেখে চলেছেন, সেজন্যই তিনি বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আসলে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে বলশালী করতে বঙ্গবন্ধু কন্যার যে ভূমিকা তা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মহিয়সী নেত্রী হিসেবে সমগ্র বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের মানুষের জন্যে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন। সুন্দরভাবে জীবন ও জীবিকার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে পরিশ্রম করছেন। অন্যদিকে শিক্ষা ক্ষেত্রেও জীবন ও শিক্ষা- এ দু’য়ের দ্বন্দ্বকে তিনি তার সহজাত জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিদীপ্ততার সাথে সমন্বয় করে ধীরে ধীরে অতিমারীর প্রকোপ কমতে থাকায় স্কুল-কলেজ পর্যায়ক্রমে খোলার ব্যবস্থা ১২ সেপ্টেম্বর থেকে করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহও ধীরে ধীরে খুলবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বর্তমানে যে জনপ্রিয়তা তা তাকে মানুষের অর্থনৈতিক ও দুঃখ-কষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অসীম সাহসিক জননীর ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছে। একদিকে তার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেই অনমনীয় বাঙালিদের জন্যে ভালবাসা ও দেশকে মুক্ত করার যে কঠিন ব্রত বাস্তবায়ন করেছিলেন, সে ধরনের ক্ষমতা, অন্যদিকে বঙ্গমাতার মত আন্তরিকতা ও বাঙালি প্রীতি- দুইয়ের অপরূপ মিশেল- এ জন্যেই তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেত্রীই কেবল নন, বৈশ্বিক নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন।
সম্প্রতি সচিবদের সাথে এক বৈঠকে সার্বিকভাবে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উত্থান যাতে অতিমারী থেকে সম্ভব হয় সেজন্যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি জানেন, অতিমারীকালীন সময়ে বৈশ্বিক যোগাযোগ কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে- সেজন্য কৃষির উন্নয়নকে মূল উপজীব্য বলে ধারণা করে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার যাতে কৃষিক্ষেত্রে ঘটে সেজন্যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। অতিমারীর সময়ে তার বিচক্ষণ কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে প্রতিমাসে এক কোটির মত টিকা দেয়ার বন্দোবস্ত করেছেন। যাতে করে দ্রুত অর্থনীতিকে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে তাল মেলানো যায়। সে জন্যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সচিবদের বৈঠকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। একজন সত্যিকার জনদরদী রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনা, যাতে এলডিসি মর্যাদা ২০২৬ সালে পেতে পারে, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে জিএসপি প্লাস যাতে বজায় থাকে এবং ট্রিপসের (TRIPS) সুযোগ-সুবিধা ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পের জন্যে বহাল রাখার কথাও বলেছেন। তিনি দেশে রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের জন্যে বিভিন্ন স্থানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত রপ্তানিমুখী শিল্পজোন প্রস্তুতের যে ব্যবস্থা নিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অতিমারীর কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির মত বাংলাদেশেও আবার আমদানি বিকল্পায়ন শিল্প প্রতিষ্ঠান সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিতভাবে প্রতিষ্ঠার যে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, সেক্ষেত্রে তার সচেতন ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
আশা করা যায়, আমদানি বিকল্পায়ন জোন প্রতিষ্ঠা হলে দেশে রপ্তানিমুখী ও আমদানি বিকল্পায়ন শিল্পায়নের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি হবে। স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে আমদানি ও রপ্তানির ভারসাম্যপূর্ণ উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ার প্রয়াস নিয়েছেন। তিনি দেশের শিল্পায়নে রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের বহুধাবিভক্তিকরণের জন্য অত্যন্ত দক্ষতাসম্পন্ন কর্মকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ঔষধ শিল্পের প্রতি তার বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে, যাতে করে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা যায়। আবার দেশে যাতে ভ্যাকসিন তৈরি করা যায় সেজন্যে এসেন্সিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, যা সরকারি ঔষধ কোম্পানি, তার ল্যাব গোপালগঞ্জে প্রস্তুতের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তিনি মানুষের কল্যাণের জন্যে পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দৃঢ়তার সাথে সম্প্রীতির পথে টেনে চলেছেন। আবার পদ্মাসেতুতে রেলের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনাতেও তার বিচক্ষণতার ছোঁয়া রয়েছে। ঢাকায় মেট্রো রেল তৈরির প্রকল্প আজ তাকে একটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। মানবকল্যাণে তার যে ব্রত, অদম্য গতিতে অতিমারীর পূর্ব পর্যন্ত অর্থনৈতিক উত্থান এবং অতিমারীর সময়ে দক্ষ কাণ্ডারির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার যে প্রয়াস- তা তাকে বিরল গুণসম্পন্ন বৈশ্বিক নেত্রী হিসেবে বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিচিতি দিয়েছে।
প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন আজকের পরিবেশ-পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত হয়ে উঠেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ তার দেদীপ্যমান নেতৃত্বগুণে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলে। কায়েমী স্বার্থবাদীদের হাত থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচানোর জন্যে তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন। এমনকি আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরও তিনি মৃত্যুর ভয়ে ভীত না হয়ে সাহসিকতার সাথে জনগণের জন্যে সংগ্রাম করেছেন। তিনি একদিকে যেমন মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারায় বিশ্বাসী, তার সাথে সাথে গরীব-দুঃখী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, হিজড়া, নিম্নবর্গের মানুষদের জন্যে সাম্য ও বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে সেফটি নেটের আওতায় নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করার প্রয়াস নিয়েছেন। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান তার গৃহীত কর্মসূচিসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করছে। তার আমলে অর্থনীতির যে উত্থান তা এডিবি, বিশ্ব ব্যাংকসহ নানা দাতাগোষ্ঠী, দেশি-বিদেশি অর্তনীতিবিদরা বলে আসছে এবং সাধারণ জনমানুষ তা প্রত্যক্ষ করছে। এদিকে অতিমারীর কারণে সমগ্র বিশ্বের মানুষ যাতে টিকার সুযোগ পায়, সে কথা বিবেচনা করে তিনি অতিমারী আটকানোর টিকাকে ‘পাবলিক গুডস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এখানেই তার দরদী মনের মাহাত্ম্য এবং বৈশ্বিক নেত্রী হওয়ার প্রয়োজনীয় শক্তি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তেনি মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ডেল্টা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যা সময়ের তুলনায় অত্যন্ত অগ্রগামী কিন্তু দেশের দীর্ঘ উন্নয়ন পরিক্রমায় গুরুত্ব বহন করে থাকে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে যাতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে সেজন্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এডিবির মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চীন, ভিয়েতনাম এবং ভারতের চেয়েও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
তার আমলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে ডিজিটালাইজেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়, যার সুফল এই অতিমারীর সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দৈনন্দিন ক্রয়-বিক্রয়সহ সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। তিনি যখন প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, তখনই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে কার্যকর করতে গণমুখী পদক্ষেপ নেন। সে সময়ে ৯৮ এর বন্যা পরবর্তী অবস্থা দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন। আবার ২০০৯ সালে দায়িত্বভার পালন করা থেকে এখন পর্যন্ত অবিরত জনমানুষের কথা ভেবে নানা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তার আমলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮% এর উপর হয়েছে। অবশ্য বৈশ্বিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোভিড-১৯ এর মধ্যেও তিনি হাল ছাড়েননি। মুজিববর্ষে তিনি গৃহহীনদের গৃহ দিতে চেষ্টা করেছেন। ৮ মার্চ, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর সমস্যা থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো যাতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তার দিকনির্দেশনা দেন।
দেশের যে উন্নয়ন তা কখনো সম্ভব হতো না, যদি তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোকাবেলায় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ না করতেন। দূরদর্শীপূর্ণ সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের গুণে দেশ বিদ্যুতে কেবল স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
কোভিড-১৯ শুরুর সাথে সাথে রপ্তানিকারক থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্যে নানামুখী প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়ার প্রয়াস নিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি গরীব, হতদরিদ্র ও অস্বচ্ছল মানুষদের জন্যে ১০.৫০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। গতবছর সরাসরি মোবাইলের মাধ্যমে তিনি অর্থ দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিতরণ করেন। তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিতে চাচ্ছেন। তার উন্নয়নের মূল সূত্র হচ্ছে কেউ উন্নয়নের ফল লাভ থেকে বঞ্চিত হবেন না। আশ্রয়ণ-১ এর আওতায় ৬৯,৯০৪টি গৃহ দরিদ্র ও ভূমিহীনদের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। আবার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ধাপে দরিদ্র ও ভূমিহীনদের মাঝে ৫৩,৩৪০টি গৃহ চলতি বছরের ২০ জুন বিতরণ করেন।
তিনি কক্সবাজারে সমুদ্রবক্ষে বিমানবন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন- যা আধুনিক ও মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি করবে। আশা করব কুমিল্লায়, যেন আবার বিমানবন্দর চালু হয়, যাতে রাজধানীর উপর চাপ কম পড়ে, সেজন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী যথার্থই মন্তব্য করেছেন যে, অতি দরিদ্র যারা তারা দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের করে আনার প্রয়াস নিয়েছেন। নারী উন্নয়নে, নারী শিক্ষা প্রসারে তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব গুণ সব সময়ে বাংলার মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। সবার জন্যে জীবন ও জীবিকার উন্বেষ ঘটাতে তিনি সচেষ্ট। তিনি বৃক্ষপ্রেমী, বনায়ন ও গাছ-গাছালী রোপণের জন্যে নিরন্তর নির্দেশ দিচ্ছেন। তার আমলে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি, ক্ষুধা থেকে মুক্তি, অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তির প্রয়াস গ্রহণ করেছেন। এ জন্যেই চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রায় এক লাখ গৃহহীনকে গৃহ দেয়ার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছেন, যাতে স্থানীয় প্রকৌশলী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ স্থানীয় প্রশাসকদের সাথে একযোগে কাজ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ জাতির বিজ্ঞানমনস্কতার সাথে যোগসূত্র গড়তে তার প্রয়াস লক্ষ্যণীয়। আবার ধরিত্র্রীর পরিবেশ যাতে দূষণমুক্ত থাকে সেজন্যেও তিনি অবিরতভাবে কাজ করে চলেছেন।
একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে, অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ু পান এবং তিনি পঞ্চমবারের মত গণতান্ত্রিকভাবে যেন প্রধানমন্ত্রী হোন। তিনি প্রয়াস নিয়েছিলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্যে। সেজন্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করেছেন। আসলে এদেশে অনেকে আছেন দায়িত্ব পাওয়ার পর তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ভুলে যান। অতিমারীর সময়ে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে তেমন কার্যকর মনে হয়নি। অনলাইনে শিক্ষার জন্যে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে বিডিরেন্ট-এর খরচ যদি বিনামূল্য হতো- সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উপকৃত হতো।’
যাদের উপর শিল্প সংশ্লিষ্ট তদারকীর ভার দেয়া হয় তারা যেন প্রধানমন্ত্রীর যে গভীর দেশপ্রেম, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং জাতি হিসেবে বাঙালির গৌরব সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে যাক- সেটি মান্য করে চলেন। মধ্যম ও নিম্নস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক বলে বলীয়ান হতে হবে- প্রধানমন্ত্রীর গঠনমূলক কাজ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবন যাতে লাভ করেন- তার জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া থাকল। একই সাথে আশা করব, তিনি পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হোন। দেশের উন্নয়ন, প্রগতি, মহামারী মোকাবেলা, পাবর্হত্য চপ্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান- সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনবদ্য কষ্টের স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল শান্তিতে পুরস্কারে ভূষিত করার জন্যে আমরা বাঙালিরা তথা বাংলাদেশিরা জোর দাবি নোবেল পুরস্কার কমিটির কাছে করছি। দেশের অগ্রযাত্রায় এই মহিয়সী নেত্রী আজ বৈশ্বিক নেত্রী হয়ে উঠেছেন। জয়বাংলা, জয়তু শেখ হাসিনা।
লেখক : অধ্যাপক, ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিস্ট, আইটি এক্সপার্ট
এসএ/