কাকন বিবির লাশ বাড়িতে, জানাযা বিকালে
প্রকাশিত : ১২:২৫, ২২ মার্চ ২০১৮
বীর প্রতিক কাকন বিবির মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জিরারগাঁও গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী কাকন বিবির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। একমাত্র মেয়ে সকিনা বিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে কাকন বিবি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৩।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে জানিয়েছেন কাকন বিবির মেয়ে সখিনা বিবি।
জানা গেছে, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন কাকন বিবি। এর আগে গত বছর জুলাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কয়েকদিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
কাকন বিবির জন্ম মেঘালয়ের নেত্রাই হাসিয়া পল্লীতে তিনি জন্মেছিলেন। কাকন বিবির স্বামী সাঈদ আলীও প্রয়াত। কাঁকন বিবি ১৯৭১ সালে তিন মাস বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যান। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন বীর এই যোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী তার সঙ্গে সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর শওকতের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেন। তার ওপর দায়িত্ব পড়ে গুপ্তচর হিসেবে বিভিন্ন তথ্য জোগাড়ের। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলার সম্মুখ যুদ্ধে কয়েকটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়।
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন। তিনি একমাত্র কন্যা সখিনা বিবিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
একে// এআর