ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিল্পী সনজীদা খাতুনের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৬, ৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ০৯:২২, ৪ এপ্রিল ২০১৮

ছায়ানটের সভাপতি, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, ভাষা সৈনিক সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সনজীদা খাতুনের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী আজ বুধবার।

গবেষক ও লেখক সনজীদা খাতুনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলা একাডেমি শিল্পীকে সংবর্ধনা জানাতে বিভিন্ন কমসূচি গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে ছায়ানট আজ শ্যামলীতে ছায়ানট ভবনে তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

অধ্যাপক সনজীদা খাতুন ১৯৩২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সাহিত্যিক ,শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব কাজী মোতাহার হোসেন। মাতার নাম সাজেদা বেগম। তিনি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কাজ করেন এবং অনুবাদক ছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই সনজীদা খাতুন সংগীত ও সংস্কৃতি কর্মে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৬১ সালে স্বামী বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও সাংবাদিক ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের মধ্যদিয়ে ষাট দশক থেকে সংগীত ও বাঙালি সংস্কৃতি জাগরণের আন্দোলনে কাজ করে যাচ্ছেন।

দেশ স্বাধীনের পর ছায়ানটের মাধ্যমে সারাদেশে সংগীত ও সংস্কৃতি কর্ম ছড়িয়ে দেন। রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ গঠন করেন। তিনি এই সংগঠনের সভাপতি। সংগীত, সংস্কৃতি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সনজীদা খাতুনের বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে।

বিশিষ্ট গবেষক, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক তার সম্পর্কে জানান, সনজিদা খাতুন ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে তার জীবনের পুরো সময়ই কাটিয়েছেন রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, লোক সংগীত প্রসারের জন্য। ১৯৬২ সালে রবীন্দ্র সংগীতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়, তাতে তিনি নেতৃত্ব দেন। ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করে সংগীত ও সংস্কৃতির উন্নয়নেই তিনি বেশি সময় কাটান।

সূত্র : বাসস

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি